উপকূলে হঠাৎ স্বস্তির বৃষ্টি, দাবদাহের কষ্ট থেকে মুক্তি পেল মানুষ

১৫ এপ্রিল ২০২৫, ১:৩৬:১৫

টানা কয়েকদিনের প্রচণ্ড গরমে হাঁসফাঁস করছিল পটুয়াখালীর উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষ। বৈশাখের খরতাপে ক্লান্ত মানুষজনের জন্য যেন প্রকৃতি নিজেই উপহার নিয়ে এলো আজ দুপুরে। হঠাৎ করেই নামল স্বস্তির বৃষ্টি—আর তাতেই যেন প্রাণ ফিরে পেল পুরো এলাকা।

আজ মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরের পর থেকেই পটুয়াখালীর আকাশে জমতে থাকে ঘন মেঘ। কিছুক্ষণের মধ্যেই শুরু হয় গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি, পরে তা রূপ নেয় মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাতে। অনেক জায়গায় বজ্রসহ বৃষ্টিও হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।

আবহাওয়া অফিস বলছে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট একটি দুর্বল লঘুচাপের কারণে এ বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। আগামী এক-দুইদিন এ ধরনের বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে উপকূলীয় জেলাগুলোর বিভিন্ন এলাকায়। এতে তাপমাত্রা কিছুটা কমে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেছে কর্তৃপক্ষ।

বৃষ্টির মধ্যে অনেককে দেখা গেছে রাস্তায় ভিজতে। কেউ কেউ পরিবার নিয়ে বেড়াতে এসেছেন সমুদ্রসৈকতে, কেউ আবার দোকানের সামনেই উপভোগ করছেন বর্ষার এই আগমনী বার্তা। সবাই যেন ভুলে গেছেন দিনের গরম আর অসহনীয় দাবদাহ।

কুয়াকাটার বাসিন্দা আবুল হোসেন রাজু বলেন, “এমন এক পশলা বৃষ্টি যে কতটা স্বস্তি এনে দিল, তা বলে বোঝানো যাবে না। কয়েকদিন ধরে শুধু গরম আর ঘাম—আজকে যেন প্রাণটা জুড়িয়ে গেল।”

বৃষ্টির কারণে শহরের কিছু সড়কে অল্প পানি জমলেও যান চলাচলে তেমন কোনো সমস্যা হয়নি। বরং এই আকস্মিক পরিবর্তনে অনেকেই মুগ্ধ। ব্যবসায়ী আব্দুল কাইয়ুম বলেন, “বিকেল বেলা এমন বৃষ্টি হলে বিক্রিও ভালো হয়। মানুষ রাস্তায় আসে, চা খায়, কিছু কিনে—বৃষ্টিতে আমাদেরও লাভ।”

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পটুয়াখালী কার্যালয় জানিয়েছে, এই ধরনের বৃষ্টিপাত চলমান থাকলে গরম কিছুটা প্রশমিত হবে এবং উপকূলীয় জনজীবন খানিকটা স্বস্তি ফিরে পাবে।

এই হঠাৎ পাওয়া স্বস্তির বৃষ্টি আপাতত উপকূলবাসীর জন্য হয়ে উঠেছে শান্তির বার্তা। প্রকৃতির এই মন ভালো করা পরিবর্তনে হাসি ফুটেছে পটুয়াখালীর হাজারো মুখে।

##
সিকদার জাবির হোসেন, পটুয়াখালী

Unauthorized use of news, image, information, etc published by দৈনিক আমাদের পটুয়াখালী is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.