গাজার কান্না ছাপিয়ে সৌদিতে রাতভর ডিজে পার্টি!

১১ এপ্রিল ২০২৫, ৫:৫৯:১১

সংগৃহীত ছবি

 

গাজায় ইসরায়েলি হামলার নৃশংসতায় প্রতিদিনই প্রাণ হারাচ্ছেন নিরীহ ফিলিস্তিনিরা। এমন এক সময়ে, যখন উপত্যকাটি রক্তে–ধ্বংসে বিপর্যস্ত, তখন সৌদি আরবের আল–উলাতে আয়োজন করা হয়েছে ডিজে পার্টি। পবিত্র মদিনা নগরীর কাছেই অনুষ্ঠিত এ আয়োজন নিয়ে বিশ্বজুড়ে তৈরি হয়েছে সমালোচনার ঝড়।

জানা গেছে, সম্প্রতি আল–উলার বিখ্যাত এলিফ্যান্ট রক বা জাবাল আল–ফিলের সামনে পাশ্চাত্য সুরে রাতভর চলেছে গান, নাচ ও আলোক আয়োজন। এতে অংশ নেন দেশি–বিদেশি তরুণ-তরুণীরা। অনুষ্ঠানের ভিডিও ও ছবি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যবহারকারীদের অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

এদিকে, গাজায় ইসরায়েলি বোমাবর্ষণে প্রতিদিন ধ্বংস হচ্ছে ঘরবাড়ি, হাসপাতাল ও মসজিদ। একমুঠো খাবার ও পানির জন্য হাহাকার করছে শিশু ও নারীসহ সাধারণ মানুষ। চিকিৎসা ও আশ্রয়ের অভাবে মানবেতর জীবন যাপন করছেন ফিলিস্তিনিরা।

এর মধ্যে আরব দেশগুলোর উদাসীনতা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে। ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে যখন বাংলাদেশসহ বহু দেশে প্রতিবাদ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হচ্ছে, তখন মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশেই চলছে উৎসব-আয়োজন।

শুধু সৌদি আরবই নয়, চলতি মাসেই কাতারের লুসাইল শহরে আয়োজন করা হয় বিশাল আতশবাজির উৎসব। রাতের আকাশে ড্রোন ও অ্যাক্রোবেটিক শোতে আলোকিত করা হয় গোটা এলাকা, যা ফিলিস্তিনে চলমান মানবিক বিপর্যয়ের প্রেক্ষাপটে অনেকের কাছে অমানবিক ও বেখাপ্পা মনে হয়েছে।

গাজায় ৫৫০ দিনের বেশি সময় ধরে চলা ইসরায়েলি বর্বরতায় আরব বিশ্বের এমন উৎসবমুখরতা ও নিরবতা আন্তর্জাতিক মহলে প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে—ফিলিস্তিনিদের পাশে সত্যিই কে?

 

Unauthorized use of news, image, information, etc published by দৈনিক আমাদের পটুয়াখালী is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.