নেপালের রাষ্ট্রদূত “গণশ্যাম ভান্ডারি”কে মানাহিলের কয়লার স্কেচ উপহার

বিশেষ প্রতিবেদক :
জুয়াইরিয়া মানাহিল এবার বাংলাদেশে নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত গণশ্যাম ভান্ডারীর ছবি কয়লা দিয়ে স্কেচ বানিয়ে উপহার দিলেন।গতকাল সোমবার বিকাল সাড়ে ৩টায় ঢাকায় অবস্থানরত নেপালের দূতাবাসে সরাসরি এই স্কেচ দেয়া হয়।
এ সময় স্কেচ পেয়ে দারুন খুশী হয়ে নেপালের রাষ্ট্রদূত নিজে ছবি তুলে রেখেছেন। এটি বাংলাদেশের উদ্যোমী শিশুদের কার্যক্রম হিসাবে স্মৃতি স্বরুপ সব সময় স্মরনীয় হয়ে থাকবে বলে জানান তিনি। মানাহিলের উজ্জল ভবিষ্যৎ কামনা করে তার সাথে থাকা বাবা মায়ের জন্যও শুভ কামনা করেন।
এসময় নেপালের রাষ্ট্রদূত জানান, “আপনারা গর্বিত মানাহিলকে নিয়ে। এত কম বয়সে এত সুন্দর স্কেচ করতে পারা খুবই দুরুহ ও কষ্টসাধ্য কাজ, যেটি মানাহিল করে দেখিয়েছে। আমার কাছে খুবই ভাল লেগেছে খুবই। আমি মানাহিলসহ আপনাদের উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করছি। সত্যিকার অর্থে আমি অভিভূত আমি পুলকিত মানাহিলের এই স্কেচ দেখে। শুধুমাত্র কয়লা দিয়ে একটি শিশু এত নিখুতভাবে স্কেচ করতে পারে যেটি আমার জানা ছিলনা। এটি আমি বাংলাদেশের শিশুদের উদ্যোক্তা ও উদ্যোমী স্বরুপ স্মৃতি হিসাবে রেখে দিব।”
এরআগে গত বছর ২ থেকে ৪মার্চ তারিখ ভারতের আসাম রাজ্যের রাজধানী গৌহাটিতে আন্তর্জাতিক শিশুদের আর্টওয়াক প্রদর্শনী এবং কর্মশালায় বিশ্বের ১০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে শুধু মাত্র মানাহিল একাই অংশগ্রহনের আমন্ত্রন পেয়েছিল। “শ্রীমন্ত শঙ্করদেব কালক্ষেত্র” কর্তৃক আয়োজিত ওই কর্মশালায়তেও অংশ নেয় মানাহিল।
বিশ্বের মোট দশটি দেশের ছেলেমেয়েদের ওই কমর্শালায় আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। দেশগুলো হলো: ভারত, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, চায়না, কোরিয়া প্রজাতন্ত্র, তুরস্ক, থাইল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, সিঙ্গাপুর এবং বাংলাদেশ।
মানাহিলের পুরো নাম জুয়াইরিয়া মানাহিল। বর্তমান বয়স মাত্র ১২বছর। ঢাকার লালমাটিয়া একাডেমি ক্যাম্পাসের ফাইভ স্ট্যান্ডার্ড ক্লাশে লেখাপড়া করছে। মানাহিলের গর্বিত মা নাফিসা ইসরাত ঢাকার একটি বেসরকারী ব্যাংকে কর্মরত এবং মানাহিলের গর্বিত বাবা এ,বি,এম সাইফ যিনি প্রাইভেট জব করেন ঢাকাতেই।
মানাহিলের বাবা ১৯৯৫ সালে পটুয়াখালী সরকারী জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ন হন। তিনি নিজেও একজন মেধাবী শিক্ষার্থী ছিলেন, বন্ধু সুলভ আচরণ আর আড্ডাবাজী ছিল শখের অন্যতম একটা অংশ।
মানাহিল ২০২২সাল থেকে লেখাপড়ার পাশাপাশি স্কেচ করা শুরু করে। ওই বছর বিভিন্ন দিবসের ভাল ভাল ও করুন কিছু দৃশ্যের স্কেচ দেখে অনেকেই চমকে ছিল। খুব সুন্দর নিখুত ভাবে আকা তার স্কেচ গত দুই বছর ধরে পটুয়াখালীর বই মেলার স্টলে চিত্র প্রদর্শনীও করা হয়েছিল।
মানাহিলের এত সুন্দর কাজে পটুয়াখালীর জুবিলীয়ান ৯৫র সকল বন্ধুরা তাকে অভিনন্দন জানিয়েছে।
Unauthorized use of news, image, information, etc published by দৈনিক আমাদের পটুয়াখালী is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.