সংবাদ প্রচারের পর সাবেক এমপি কানিজ সুলতানার সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট

৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৬:১৫:৫৭

বাসায় কম্বল মজুদ রাখার তথ্যের ভিত্বিতে শনিবার বিকেলে পটুয়াখালী সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাবেক এমপি কানিজ সুলতানার বাসায় অভিযান পরিচালনা করেছেন প্রশাসন। অভিযানের সংবাদ প্রচারের পর পরই কাজী কানিজ সুলতানা তার নিজ ফেসবুক ওয়ালে তাৎক্ষনিক একটি মন্তব্য প্রকাশ করেছেন। তিনি লিখেছেনে,

আমি ২০১৯-২৩ সন পর্যন্ত পটুয়াখালীর সংরক্ষিত মহিলা এমপির দায়িত্বে ছিলাম। এই দায়িত্বে থাকাকালে সরকারিভাবে যেটুকু কম্বল পেতাম তার সাথে আমার নিজের ক্রয়কৃত কম্বল মিলিয়ে প্রতিবছর পটুয়াখালী সদর, মির্জাগঞ্জ, দুমকি উপজেলা এবং পৌর শহরের সকল গরিব দুস্থ অসহায় শীতার্ত মানুষের মধ্যে বিতরণ করতাম। সংরক্ষিত মহিলা আসনের বরাদ্দ অত্যন্ত কম ছিল এই জন্য আমি নিজেও কিছু কম্বল ক্রয় করতাম এবং শীতার্তদের মাঝে বিতরণ করতাম যা আমার জেলার ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিক ভাইদের কাছে প্রমাণ হিসেবে রয়েছে। সেই সাথে আমার ফেসবুক ওয়ালেও প্রতিবছরের প্রমাণ রয়েছে। আমার সংসদ সদস্যের সময়কাল শেষ হয় ২০২৩ এর ডিসেম্বর মাসে। ২০২৪ সালের জুন মাসের দিকে আমি ১২০ পিস কম্বল ক্রয় করি ওই বছরের শীতের শুরুতে আমার এলাকাবাসীর মধ্যে বিতরণের জন্য। কিন্তু ২০২৪ এর ৫ আগস্ট অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির কারণে এলাকায় যেতে না পারায় কম্বলগুলো বিতরণ করা সম্ভব হয় নি। ৫ আগস্ট বাসায় প্রচুর ভাঙচুর হয়েছিল, এই গরীব মানুষের কম্বলগুলো যাতে লুটপাট না হয় সেই জন্য ৬ আগস্ট আমার বাসার ঠিক সামনের বাসায় প্রতিবেশীর ছাদে এই ১২০ পিস কম্বল রেখেছিলাম নিরাপত্তার কারণে। ভেবেছিলাম যখন এলাকায় আসতে পারবো তখন এগুলো বিতরণ করবো। কিন্তু কে বা কারা এগুলো প্রতিবেশীর বাসা থেকে লুট করে নিয়ে গেছে। পটুয়াখালীর জনগণ প্রমাণ আমি প্রতিবছর শীতের মৌসুমে কি পরিমান কম্বল বিতরণ করতাম। আমার আর কিছু বলার নেই..

Unauthorized use of news, image, information, etc published by দৈনিক আমাদের পটুয়াখালী is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.