ভিপি নুরের ট্রাক প্রতীকের প্রচারে পটুয়াখালী-১ আসনে এমপি প্রার্থী শহীদুল ইসলাম

জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে পটুয়াখালী-১ (সদর-মির্জাগঞ্জ-দুমকি) আসনে গণঅধিকার পরিষদের নির্বাচনী প্রচারনায় নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে। দলটির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ও সংসদ সদস্য (এমপি) পদপ্রার্থী শহীদুল ইসলামের নেতৃত্বে বেশ কিছুদিন ধরে গণসংযোগ কর্মসূচি চলছে।

- বিজ্ঞাপন -

পটুয়াখালী সদরের সন্তান
শহীদুল ইসলাম বাসস্ট্যান্ড, হাট-বাজার, গ্রামীণ জনপদে চালিয়ে যাচ্ছেন তার দলীয় প্রচারণার কাজ। কাজ করতে গিয়ে শহীদুল ইসলাম সাধারণ মানুষের সঙ্গে কুশল বিনিময় করে তাদের খোঁজখবর নিয়ে নতুন দলের জন্য মানুষের কাছে দোয়া ও সমর্থন চেয়ে যাচ্ছেন।

গণসংযোগে অংশ নিয়ে শহীদুল ইসলাম বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক একজ শিক্ষার্থী হিসেবে তারুণ্যের আইকন, সময়ের সাহসী সন্তান, পটুয়াখালীর মাঁটি যার জন্য গর্বিত সেই আগামীর বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রোষ্টা ভিপি নুরুল হক নুরের সঙ্গে একসাথে তার দলের কেন্দ্রীয় রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত আছি। মানুষের অধিকার আদায়ে তার সহযোদ্ধা হিসেবে সাধারণ মানুষের জন্য কথা বলতে পারাটা সৌভাগ্যের ব্যাপার, আগামীর তারুণ্যের বাংলাদেশ গড়তে, সুবিধাবঞ্চিত সকল মানুষের অধিকার ফিরিয়ে দিতে তাদের মাঝে কাজ করতে হবে। আমরা তরুণরা জনগণের প্রকৃত সেবা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির রাজনীতি উপহার দিতে চাই।

শহীদুল ইসলাম বলেন, আমরা ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা পেয়েছিলাম কিন্তু দীর্ঘ ৫৪ বছরে সেই স্বাধীনতার সাধ সাধারণ মানুষ কিন্তু পায়নি, এখন সময় এসেছে মানুষের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার, ৭১ এর মতো ২৪ সালের ছাত্র-জনতার রক্ত বৃথা যেতে দেবো না, ফ্যাসিবাদের বুলেটের সামনে জীবন বাজি রেখেছি, মানুষের অধিকারের জন্য কথা বলেছি, একটি সুন্দর গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার জন্য। পটুয়াখালীর জনপদ হবে বাংলাদেশের মানুষের জন্য টেকসই উন্নয়নের রোল মডেল।

শহীদুল ইসলাম বলেন, আমাদের সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ-মাদকমুক্ত জনপদ গড়ে তুলতে হলে ২৪ সালের ন্যায় সকল শ্রেণি-পেশার মানুষদের দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে আবারো এগিয়ে আসতে হবে। ভিপি নুরের নতুন রাজনৈতিক শক্তির প্রতিনিধি হতে হবে। যেই নেতৃত্ব আগামীর সুন্দর বাংলাদেশ উপহার দিবে।

- বিজ্ঞাপন -

শহীদুল ইসলাম হতাশাগ্রস্ত কণ্ঠে বলেন, পটুয়াখালীর মানুষ বহু বছর ধরে উন্নয়ন বঞ্চিত, আমি সদরের বাধঁঘাট দিয়ে ভিতরে একটা আবাসনে গিয়েছিলাম তাদের দুঃখ দুর্দশা দেখার জন্য।

সেখানে গিয়ে দেখলাম ওই নিঃস্ব মানুষগুলোর জন্য ভালো কোন টয়লেট নাই, খাওয়ার জন্য বিশুদ্ধ পানির টিউবওয়েল পর্যন্ত নাই, চাল দিয়ে বৃষ্টির পানি পড়ে, তাদের সন্তানদের ও সেখানে থাকা প্রতিবন্ধীদের চোখে কান্না। তারা পুরোপুরি সরকারি সুবিধাবঞ্চিত। আমরা আগামীর বাংলাদেশ এমন চাই যেখানে মানুষ তার অধিকার নিয়ে বাঁচবে

আপনার মন্তব্য লিখুন

- Google -

আরও পড়ুন

Back to top button