সফল ব্যক্তিরা প্রতিদিন একই পোশাক পরেন কেন?

বিশ্বের সবচেয়ে সফল মানুষদের দিকে তাকালেই একটি বিষয় চোখে পড়ে তাদের পোশাক প্রায়ই একই রকম। স্টিভ জবসের কালো টার্টলনেক, মার্ক জাকারবার্গের ধূসর টি-শার্ট বা বারাক ওবামার নীল-ধূসর স্যুট-এই ‘একই পোশাক নীতি’ বহুদিন ধরেই আলোচনায়। কিন্তু এই অভ্যাস কাকতালীয় নয়; এর পেছনে রয়েছে মানসিক চাপ কমানো, সময় বাঁচানো এবং ব্যক্তিত্বকে আরও সুসংহত করে তোলার সুপরিকল্পিত চিন্তা।
বিশেষজ্ঞরা জানান, প্রতিদিন কী পরবেন তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রয়োজন কমে গেলে মস্তিষ্কের বড় একটি চাপ হ্রাস পায়। মার্ক জাকারবার্গ এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, মানুষের সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা সীমিত। তাই তিনি চান না প্রতিদিনের পোশাক বাছাইয়ের মতো ছোট বিষয় তার গুরুত্বপূর্ণ চিন্তার জায়গা দখল করে রাখুক।
সকালের সময় বাঁচে, মনোযোগ বাড়ে
অফিসে যাওয়ার আগে কী পরবেন—অনেকেরই এটি একটি দৈনন্দিন দ্বিধা। পোশাক মেলাতে গিয়ে সময় নষ্ট হওয়া নতুন নয়। কিন্তু একই ধরনের পোশাক থাকলে সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রয়োজন হয় না। ফলে প্রস্তুতি নিতে সময় কম লাগে, আর দিনটিতে কাজের প্রতি মনোযোগ বাড়ে।
অর্থের অপচয়ও কমে
অযথা বিভিন্ন স্টাইল, রং বা নতুন ট্রেন্ডের পেছনে অর্থ ব্যয় করার প্রবণতা অনেকের মধ্যেই থাকে। কিন্তু নির্দিষ্ট পোশাকের ধরন বেছে নিলে কেনাকাটার প্রয়োজনই কম অনুভূত হয়। এতে সাশ্রয় হয় অর্থের, কমে অপ্রয়োজনীয় ব্যয়ও।
মান ও আরামের নিশ্চয়তা
একই স্টাইল অনুসরণ করার ফলে পোশাকের মান নিয়েও সচেতন সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ হয়। সফল ব্যক্তিরা সাধারণত এমন ব্র্যান্ড ও পোশাক বেছে নেন, যা আরামদায়ক, টেকসই এবং দীর্ঘদিন একই চেহারা বজায় রাখে। এতে পোশাকের মাধ্যমে কাজের পরিবেশে স্থিরতা ও পেশাদারিত্বও ফুটে ওঠে।
‘সিগনেচার লুক’ গড়ে তোলে ব্যক্তিত্ব
একই ধরনের পোশাক পরার সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো, তা একসময় ব্যক্তির আলাদা পরিচয়ে পরিণত হয়। স্টিভ জবস বা জাকারবার্গকে আলাদা করে চেনার অন্যতম কারণ এই সিগনেচার লুক। এতে ব্যক্তি হয়ে ওঠেন সহজেই স্মরণীয় এবং ব্র্যান্ড পরিচিতির মতো একটি আলাদা অবস্থান গড়ে ওঠে।




আপনার মন্তব্য লিখুন