সংরক্ষিত ঘুঘু ও শালিক শিকার করে রান্না করায় ভ্রাম্যমাণ আদালতে যুবকের দণ্ড

‘গাইস, এহন রাইত বাজে ২টা একুইশ। আমরা এহন সেই লেবেলের খানা খাইতে আছি। এ পর্যন্ত শুধু ৭-৮ কেজি দেশি ঘুঘু ও বকপাখির মাংস খাইছি। আরো রান্না হইতাছে। এগুলো সব আমরা শিকার করছি।’

ঠিক এভাবেই বুধবার গভীর রাতে ফেসবুক লাইভে এসে একাধিক বন্যপাখি শিকার শেষে তা রান্না করে খাওয়ার দৃশ্য দেখিয়েছিলেন যুবক। আর এতেই ঘটে বিপত্তি। যা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে নজরে আসে প্রাণিকল্যাণ ও পরিবেশবাদী সংগঠনসহ অ্যানিমেল  লাভারর্স সদস্যদের। এরপরেই এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) জনাব ইয়াসিন সাদেককে অবগত করেন তারা।

- বিজ্ঞাপন -

পরে বুধবার (১২ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে বন বিভাগ পটুয়াখালীর কলাপাড়া রেঞ্জের কর্মকর্তাকে সঙ্গে নিয়ে পাখি শিকারিকে খুঁজে বের করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় পাখি শিকারি বাইজিদ আমিনকে অন্তত ৩০টি দেশীয় ঘুঘু এবং শালিক শিকার শেষে রান্না করে খাওয়ার অপরাধে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়। অভিযুক্ত বাইজিদ বালীয়াতলী ইউপির আমতলী পাড়া গ্রামের মাসুম বিল্লাহর ছেলে।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইয়াসিন সাদিক জানান, অভিযুক্ত যুবক বাইজিদ বন্যপ্রাণি সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন অমান্য করে পাখি শিকার শেষে রান্না করে খেয়েছেন। এ বিষয়ে আমাকে অ্যানিমেল লাভার্সের সদস্যরা অবহিত করেন। পরে বন বিভাগের কলাপাড়া রেঞ্জ কর্মকর্তা প্রসিকিউশন দাখিল করলে এই পাখি শিকারিকে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়। অনাদায়ে ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া কেউ বন্যপাখি শিকার করলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান তিনি।

- বিজ্ঞাপন -

আপনার মন্তব্য লিখুন

- Google -

আরও পড়ুন

Back to top button