চাকসুর ভিপি-জিএস শিবিরের, এজিএস ছাত্রদলের

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনে ভিপি (সভাপতি) পদে বিজয়ী হয়েছেন ছাত্রশিবির-সমর্থিত সম্প্রীতির শিক্ষার্থী জোটের প্রার্থী ইব্রাহিম হোসেন রনি। সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে জয়লাভ করেছেন একই প্যানেলের সাঈদ বিন হাবিব। অন্যদিকে সহ সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে বিজয়ী হয়েছেন ছাত্রদল-সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থী আইয়ুবুর রহমান তৌফিক।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) দিবাগত রাত সাড়ে ৪টার দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে কেন্দ্রীয় সংসদের ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
ভিপি পদে বিজয়ী ইব্রাহিম হোসেন রনি পেয়েছেন ৭ হাজার ৯৮৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী, ছাত্রদল-সমর্থিত সাজ্জাদ হোসেন হৃদয় পেয়েছেন ৪ হাজার ৩৭৪ ভোট।
জিএস পদে বিজয়ী সাঈদ বিন হাবিব পেয়েছেন ৮ হাজার ৩১ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী, ছাত্রদলের মো. শাফায়েত হোসেন পেয়েছেন ২ হাজার ৭২৪ ভোট।
এজিএস পদে আইয়ুবুর রহমান তৌফিক পেয়েছেন ৭ হাজার ১৪ ভোট, যেখানে ছাত্রশিবির-সমর্থিত প্রার্থী সাজ্জাত হোসেন মুন্না পেয়েছেন ৫ হাজার ৪৫ ভোট।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘ ৩৫ বছর পর চাকসু, হল ও হোস্টেল সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। বুধবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলে ভোটগ্রহণ। এবারের নির্বাচনে ১৩টি প্যানেলের মোট ৯০৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ২৩২টি পদে।
কেন্দ্রীয় সংসদের ২৬টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ৪১৫ জন, আর ১৪টি হল ও একটি হোস্টেলের পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ৪৯৩ জন প্রার্থী। নারী প্রার্থী ছিলেন ৪৭ জন।
ভোটারদের ভোট দিতে হয়েছে সর্বমোট ৪০টি পদের জন্য। যার মধ্যে ২৬টি কেন্দ্রীয় এবং ১৪টি হল সংসদের পদ।
ভোটগ্রহণ হয়েছে ব্যালট পেপারে, এবং গণনা করা হয়েছে ওএমআর (অপটিক্যাল মার্ক রিডার) পদ্ধতিতে। কেন্দ্রীয় সংসদের ফলাফল ঘোষণা করা হয় ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ মিলনায়তনে, আর হল সংসদের ফলাফল সরাসরি ভোটকেন্দ্রেই প্রকাশ করা হয়।
নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ রাখতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিনদের রিটার্নিং কর্মকর্তা এবং বিভাগীয় সভাপতিদের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়। ভোটার তালিকায় ছবি সংযুক্ত করা হয়েছিল।
ভোটের দিনে শিক্ষার্থীদের যাতায়াত নিশ্চিত করতে শাটল ট্রেন ১১ বার করে শহর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়া-আসা করে। পাশাপাশি ১৫টি বাসও চলাচল করে।
আপনার মন্তব্য লিখুন