চর বিজয়ে বনায়ন অভিযানে প্রাণ ফিরে পাচ্ছে উপকূল, উদ্ধার হলো আহত সি-গাল পাখিও

পটুয়াখালীর কুয়াকাটার চর বিজয়ে উপকূলীয় বন বিভাগ, পটুয়াখালী’র মহিপুর রেঞ্জের আয়োজনে ৪০ হাজার ঝাউ বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ সোমবার (১৩ অক্টোবর ২০২৫) সকালে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন কলাপাড়া উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও কুয়াকাটা পৌর প্রশাসক জনাব ইয়াসিন সাদেক।

- বিজ্ঞাপন -

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে ইয়াসিন সাদেক বলেন, “ইতিপূর্বে চর বিজয়ে রোপণকৃত ঝাউ, ধানশী, সুন্দরী ও কেওড়া গাছসহ বিস্তৃত ঘাস জন্মেছে। এভাবে বনায়ন কার্যক্রম ও পরিচর্যা অব্যাহত রাখা গেলে, চর বিজয়ে প্রাকৃতিক বন ও অতিথি পাখির অভয়াশ্রম গড়ে তোলা সম্ভব হবে।”

বন বিভাগের ‘সুফল প্রজেক্ট’-এর আওতায় আজকের কর্মসূচিতে মোট ৪০ হাজার ঝাউ গাছ রোপণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম দিনে প্রায় ৮ হাজার চারা রোপণ সম্পন্ন হয়েছে বলে জানা গেছে। বাকি চারা পর্যায়ক্রমে রোপণ করা হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

রোপণ কর্মসূচি চলাকালে চর বিজয়ে একটি আহত “সি-গাল” পাখি উদ্ধার করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইয়াসিন সাদেক। পরে পাখিটিকে চিকিৎসা ও পরিচর্যার জন্য ‘অ্যানিমেল লাভার্স অব পটুয়াখালী’ নামের স্বেচ্ছাসেবী প্রাণিকল্যাণ ও পরিবেশবাদী সংগঠনের কলাপাড়া শাখার কাছে হস্তান্তর করা হয়।

অ্যানিমেল লাভার্স অব পটুয়াখালীর কলাপাড়া শাখার টিম লিডার বায়জিদ মুন্সি বলেন, “সহকারী কমিশনার (ভূমি) স্যার আহত সি-গাল পাখিটি আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছেন। আমরা ভেটেরিনারি ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা শুরু করেছি। আশা করছি পাখিটি দ্রুত সুস্থ হয়ে তার স্বাভাবিক পরিবেশে ফিরে যেতে পারবে।”

- বিজ্ঞাপন -

মহিপুর রেঞ্জ কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান বলেন, “চর বিজয়ে দীর্ঘদিন ধরে বন বিভাগের বনায়ন কার্যক্রম চলছে। উপকূলীয় অঞ্চলকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষা করা ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের লক্ষ্যেই এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে আমরা শুধু বৃক্ষরোপণই করছি না, বরং একটি স্থায়ী পরিবেশবান্ধব ইকোসিস্টেম গড়ে তুলছি।”

এ সময় বন বিভাগের কর্মকর্তা, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও পরিবেশপ্রেমীরা উপস্থিত ছিলেন।

 

আসাদুল্লাহ হাসান মুসা

আপনার মন্তব্য লিখুন

- Google -

আরও পড়ুন

Back to top button