পটুয়াখালীতে ৩৮ বছর পর হত্যা মামলার আসামি গ্রেপ্তার

পটুয়াখালীতে চার দশক আগে সংঘটিত এক হত্যা মামলার প্রধান আসামি ও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত মো. হারুন হাওলাদার (৬৫) অবশেষে পুলিশের হাতে ধরা পড়েছেন। দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর গলাচিপা থানা পুলিশ বিশেষ অভিযানে তাকে ঢাকার লালবাগ এলাকার রোকেয়া কুঞ্জু কমিউনিটি সেন্টার থেকে গ্রেপ্তার করে। বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাতের এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

- বিজ্ঞাপন -

গলাচিপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশাদুর রহমান গণমাধ্যমকে জানান, দেবু শিকারী হত্যা মামলার অন্যতম আসামি হারুন হাওলাদার আদালতের নির্দেশে পুলিশের নজরদারিতে ছিলেন। অবশেষে দীর্ঘ ৩৮ বছর পর তাকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে আদালতের নির্দেশে তাকে পটুয়াখালী জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

থানা-পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ১৯৮৮ সালের ১৭ জুন গলাচিপা উপজেলার ডাকুয়া ইউনিয়নের চত্রা গ্রামে দেবেন্দ্র শিকারী নামের এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। নিহতের মেয়ে কল্পনা শিকারী বাদী হয়ে এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত স্থানীয় ছত্তার হাওলাদারের ছেলে হারুন হাওলাদারকে যাবজ্জীবন সাজা দেন।

এরপর থেকেই তিনি গা-ঢাকা দিয়ে দীর্ঘ সময় পলাতক জীবনযাপন করছিলেন। মামলার তিনজন আসামির মধ্যে বর্তমানে তিনিই জীবিত ছিলেন। অবশেষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারি ও অভিযানের মুখে চার দশক পর ধরা পড়লেন তিনি।

তবে গ্রেপ্তারের পর হারুন হাওলাদার দাবি করেছেন, দেবু শিকারীর বাড়িতে নানারকম অসামাজিক কর্মকাণ্ড চলত। এসবের প্রতিবাদ করায় তাকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে এ মামলায় আসামি করা হয়েছে। যদিও পুলিশের দাবি, আদালতের রায়ে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

- বিজ্ঞাপন -

আপনার মন্তব্য লিখুন

- Google -

আরও পড়ুন

Back to top button