পবিপ্রবি’তে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর প্রতি ইউনিক বাসের অশোভন আচরণ: চালক ও হেল্পার বরখাস্ত, ক্ষমা প্রার্থনা

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) কৃষি অনুষদের শিক্ষক অধ্যাপক ড. মো: আসাদুজ্জামান মিয়া মুন্না এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থীকে দুর্ব্যবহার ও প্রাণনাশের হুমকির ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কঠোর অবস্থানের পর ইউনিক পরিবহন কর্তৃপক্ষ দোষ স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করেছে এবং অভিযুক্ত চালক ও হেল্পারকে স্থায়ীভাবে চাকরিচ্যুত করেছে। এছাড়া, চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স বাতিলের বিষয়টিও সুপারিশ করা হয়েছে।

- বিজ্ঞাপন -

ইউনিক পরিবহনের এডমিন এম. এ. মিন্টু স্বাক্ষরিত দুইটি অফিস আদেশে এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়। অভিযুক্ত চালক মো: জসিম উদ্দিন বরগুনা জেলার আমতলী থানার দক্ষিণ তাঁরিকাটা গ্রামের মো: আঃ সাত্তারের পুত্র এবং হেল্পার হিসেবে ছিলেন চালকের পুত্র মো: শাকিল।

ঘটনাটি ঘটে ৪ আগস্ট, কুয়াকাটা থেকে ঢাকাগামী ইউনিক পরিবহনের একটি বাসে। অধ্যাপক ড. মো: আসাদুজ্জামান মিয়া মুন্না এবং তিন শিক্ষার্থী বাসে থাকা অবস্থায় চালক ও হেল্পারের অশোভন আচরণ ও প্রাণনাশের হুমকির শিকার হন। এরপর পবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা দুর্ঘটনাস্থল থেকে তাদের বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নিয়ে আসেন।

৫ আগস্ট বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসে বিষয়টি মীমাংসার জন্য ইউনিক পরিবহনের বরিশাল বিভাগের ইনচার্জ এবং অন্যান্য কর্মকর্তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, অভিযুক্ত ড্রাইভার মো: জসিম ও হেল্পার মো: শাকিলকে আজীবনের জন্য ইউনিক পরিবহন থেকে বরখাস্ত করা হয়। অফিস আদেশে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা যদি পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করেন, সেক্ষেত্রে ইউনিক পরিবহন কোনো বাধা সৃষ্টি করবে না।

পবিপ্রবির মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. কাজী রফিকুল ইসলাম এই ঘটনায় কঠোর অবস্থান গ্রহণ করে বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আমাদের নৈতিক ও প্রশাসনিক দায়িত্ব। এ ধরনের কাণ্ড আমরা কোনোভাবেই সহ্য করব না। আমরা আশা করি, আজকের ঘটনা সকল পরিবহনকর্মীর জন্য একটি সতর্কবার্তা হয়ে থাকবে এবং ভবিষ্যতে কেউ এই ধরনের অশোভন আচরণ করার সাহস করবে না।”

- বিজ্ঞাপন -

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন একই সঙ্গে চালক ও হেল্পারের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করার সিদ্ধান্তও গ্রহণ করেছে। পবিপ্রবি প্রশাসন স্পষ্টভাবে জানিয়েছে, শিক্ষকের মর্যাদা ও শিক্ষার্থীর নিরাপত্তা কেউকে হরণের সুযোগ দেওয়া যাবে না।

আপনার মন্তব্য লিখুন

- Google -

আরও পড়ুন

Back to top button