প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

 

- বিজ্ঞাপন -

বিগত ২১/০৮/২০২৫ ইং তারিখে “বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল পটুয়াখালীর বিচারকের বাসায় টাকার বান্ডিল পাঠালেন পিপি” শিরোনামে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক ও অনলাইন গণমাধ্যমে একটি বিভ্রান্তিকর ও উদ্দেশ্যমূলক সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। সংবাদটি আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে এবং আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

প্রকৃতপক্ষে উক্ত সংবাদের সাথে আমার বিন্দুমাত্র সম্পৃক্ততা নেই। এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, কাল্পনিক ও ষড়যন্ত্রমূলক। আমি কখনোই কোনো প্রকার ঘুষ লেনদেন বা কারো মাধ্যমে বিচারকের বাসায় অর্থ প্রেরণ করিনি। এমনকি উক্ত বিচারকের গৃহকর্মীকে আমি চিনি না।

উল্লেখিত সংবাদ প্রকাশের নেপথ্যে রয়েছে কিছু রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত স্বার্থান্বেষী মহল। নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস মহোদয়ের নেতৃত্বে সরকার গঠনের পর দেশে নতুন জিপি-পিপি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় আমাকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল পটুয়াখালীর পিপি হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়। এই নিয়োগকে কেন্দ্র করে ক্ষুব্ধ হয়ে কতিপয় অসৎ আইনজীবী, বিশেষত বিএনপি ও আইনজীবী ফোরামের একটি অংশ আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক কর্মকাণ্ড শুরু করে। তারা বারবার আমাকে ভয়ভীতি প্রদর্শন, হামলা, লাঞ্ছনা ও চেম্বার ভাঙচুর করেছে—যা গণমাধ্যমে ইতোমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে।

অতীত থেকে বর্তমান পর্যন্ত বিচারক মহোদয়ের সাথে আদালতের কার্যক্রম নিয়ে আমার মতপার্থক্য ছিল। আমি আদালতে ঘুষ ও অনিয়মের প্রতিবাদ করেছি। ফলে তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে আমার সুনাম নষ্ট করার জন্য রাজনৈতিক প্রতিপক্ষদের সাথে যোগসাজশে এই মিথ্যা অভিযোগ আনয়ন করেছেন।

- বিজ্ঞাপন -

আমি দৃঢ়ভাবে বলছি, উক্ত সংবাদে বর্ণিত অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও ষড়যন্ত্রমূলক। এর মাধ্যমে আমার ব্যক্তিগত ও সামাজিক মান-সম্মান ক্ষুণ্ন করার অপচেষ্টা চালানো হয়েছে।

আমি সংশ্লিষ্ট সকল গণমাধ্যমকে অনুরোধ করছি—ভবিষ্যতে যাচাই-বাছাই ছাড়া এ ধরনের মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রচার থেকে বিরত থাকার জন্য। একইসাথে আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও প্রকৃত সত্য উদঘাটনের জন্য মাননীয় কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানাচ্ছি।

— এডভোকেট রুহুল আমিন সিকদার, পিপি, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল পটুয়াখালী।

আপনার মন্তব্য লিখুন

- Google -

আরও পড়ুন

Back to top button