সাড়ে তিন বছর পর পটুয়াখালীর চাঞ্চল্যকর ব্যবসায়ী হত্যার প্রধান বায়েজিত গ্রেফতার

পটুয়াখালীতে নির্ধারিত তারিখে সালিশী বৈঠকে বসার আগের রাতে নির্মমভাবে খুন হওয়া ব্যবসায়ী ইউসুফ মৃধার মূল হোতা বায়েজিত মাতবর( ২৩)কে গ্রেফতার করেছে পিবিআই।
গ্রেফতারকৃত বায়েজিত শহর সংলগ্ন ১নং ব্রীজ এলাকার মালেক মাতবরের ছেলে।
তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় দীর্ঘ প্রায় সাড়ে ৩বছর পর ঢাকার শ্যামপুর এলাকার একটি ওয়াকশপ থেকে বায়েজিতকে গ্রেফতার করে পটুয়াখালীর পিবিআই পুলিশ সদস্য এসআই সুমন হালদার।
মঙ্গলবার বিকালে তাকে আদালতের মাধ্যমে পটুয়াখালী কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে এসআই সুমন হালদার নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, ইউসুফ হত্যা মামলায় এ পর্যন্ত মোট ৫জন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলাটি এখনও তদন্ত চলছে। পুরো তদন্ত শেষ হলে বিস্তারিত বলা যাবে।
পুলিশ সূত্র জানায়, জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের নিস্পত্তির জন্য ২০২২সালের ১৬ই এপ্রিল একটি চূড়ান্ত শালিসী বৈঠক হবার কথা ছিল। কিন্তু তার আগের দিন রাতেই ইউসুফ মৃধাকে হত্যা করা হয়। এমন অভিযোগ নিয়ে ইউসুফের স্ত্রী বাদি হয়ে ১০জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেছিল। কিন্তু গ্রেফতারকৃত বায়েজিত মাতবর মামলার আসামীর তালিকায় না থাকলেও ঘটনার পর থেকে সে এলাকা থেকে পালিয়ে ছিল। এজাহার নামীয় গ্রেফতারকৃত চারজন আসামীর দেয়া তথ্য ও অনুসন্ধানে বায়েজিতের নাম আসায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০২২সালের ১৫ই এপ্রিল রাত ১০টার শহর সংলগ্ন ১নং ব্রীজের নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ঔষধের ফার্মেসী বন্ধ করে বাসার উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে রাত আনুমানিক সাড়ে ১০টার দিকে মুগডাল ক্ষেতের মধ্যে তাকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে পালিয়ে যায় আসামীরা।
পরে রাত সাড়ে ১১টার দিকে অনেক খোজা খুজির পর পরিবারের সদস্যরা রক্তাক্ত অবস্থায় ইউসুফকে উদ্ধার করে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার পর স্ত্রী মোসাম্মদ নুরুন্নাহার বেগম বাদী হয়ে ১০ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ৬/৭ জন আসামীর বিরুদ্ধে পটুয়াখালী সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরবর্তিতে মামলাটি তদন্ত করতে পিবিআইকে হস্তান্তর করা হয়।
আপনার মন্তব্য লিখুন