খালেদা জিয়াকে উপহার দিতে গিয়ে ভাইরাল, এখন এলাকাবাসীর আতঙ্ক সোহাগ মৃধা

সাব্বির সরদার

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার মহিষকাটা গ্রামের বেলায়েত হোসেন মৃধার ছেলে সোহাগ মৃধার বিরুদ্ধে বেপরোয়া চাঁদাবাজি ও অপকর্মের অভিযোগে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।

- বিজ্ঞাপন -

বিগত কোরবানির ঈদে বিএনপি চেয়ারপারসনকে উপহার দেওয়া ‘কালো মানিক’ নামের গরুর মালিক ছিলেন তিনি। যদিও চেয়ারপারসন উপহার গ্রহণ না করায় ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। তবে এখন তার বিরুদ্ধে ভয়ঙ্কর চাঁদাবাজির অভিযোগে সরব হয়েছেন স্থানীয়রা।

স্থানীয় ভুক্তভোগী রুহুল আমিন জানান, নিজ বাড়িতে থাকার জন্য সোহাগ তার কাছে আড়াই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। অস্বীকৃতি জানালে ইউনিয়ন বিএনপি অফিসে নিয়ে গিয়ে তাকে মারধর করা হয়। শুধু তাই নয়, তার ভাড়াটিয়াকে ঘর ছাড়তে ৭ দিনের আল্টিমেটামও দেন সোহাগ।

এ বিষয়ে মামলা করতে চাইলে মির্জাগঞ্জ থানা তা না নিয়ে অভিযোগ হিসেবে গ্রহণ করে এবং তদন্তের দায়িত্ব এসআই সাখাওয়াত হোসেনকে দেয়। পাশাপাশি মির্জাগঞ্জ সেনা ক্যাম্পেও সোহাগ ও শাহীন মৃধার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ করা হয়েছে বলে জানাগেছে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, কোরবানির ঈদের পর উত্তর ঝাটিবুনিয়ার মামুন সিকদারের কাছ থেকে গরু ফেরত আনার অজুহাতে চাঁদা দাবি করেন সোহাগ। এছাড়া মহিষকাটা বাজারের দবিরের চায়ের দোকান ভাঙচুর ও কাফুলা গ্রামের মাওলানা হাবিবুর রহমানের গাছ জোর করে কেটে নেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

- বিজ্ঞাপন -

এলাকাবাসীর দাবি, ৩ নম্বর আমড়াগাছিয়া ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি রফিকের মদদে সোহাগ মৃধা ও তার খালাতো ভাই শাহীন মৃধা বাজারে একটি চাঁদাবাজ সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছে। তারা শুধু চাঁদাবাজিই করছে না, মাদক ও জুয়ার সঙ্গেও গভীরভাবে জড়িত। এর আগেও একাধিকবার তারা গ্রেফতার হয়ে হাজতবাস করেছেন।

এলাকায় এখন সোহাগ ও শাহীনের নেতৃত্বে একটি কিশোর গ্যাং সক্রিয় রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা। তাদের ভয়ে সাধারণ মানুষ আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।

মির্জাগঞ্জ থানার এসআই শাখাওয়াত হোসেন বলেন , যিনি অভিযোগ করেছেন তিনি পরে আবার আমাদের ব্যবস্থা নিতে নিষেধ করেছেন। মামলা নেয়া না নেওয়া আমি জানিনা মামলা নেয়ার এখতিয়ার ওসির।

আপনার মন্তব্য লিখুন

- Google -

আরও পড়ুন

Back to top button