“বিএনপিপন্থী শিক্ষকের পদত্যাগ” সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে পবিপ্রবি প্রশাসন

পবিপ্রবি রিপোর্টার:
“বিএনপিপন্থী শিক্ষকের পদত্যাগ” শিরোনামে ৮ আগস্ট ২০২৫ তারিখে প্রকাশিত কয়েকটি জাতীয় দৈনিক ও অনলাইন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদকে “সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও বিভ্রান্তিকর” উল্লেখ করে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পবিপ্রবি) কর্তৃপক্ষ।

- বিজ্ঞাপন -

বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ ও প্রকাশনা বিভাগ থেকে পাঠানো এক প্রতিবাদপত্রে জানানো হয়, সংবাদটিতে যেভাবে তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ অসত্য, বিভ্রান্তিকর এবং প্রকৃত ঘটনার অপপ্রচার। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম, প্রশাসনিক ধারা ও দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের ভাবমূর্তি নষ্ট করার অপচেষ্টা রয়েছে।

প্রতিবাদপত্রে আরও উল্লেখ করা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা শাখার সাবেক পরিচালক প্রফেসর ড. মো. জিল্লুর রহমান ক্যান্সারের উন্নত চিকিৎসার জন্য ৮ মে ২০২৫ তারিখে ছুটিতে গিয়ে থাইল্যান্ডে গমন করেন। তার অনুপস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. ইকতিয়ার উদ্দিন স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন ও ইকোনমিক্স ও সোশিয়লজি বিভাগের সিনিয়র প্রফেসর ড. মো. সুজাহাঙ্গীর কবির সরকারকে অস্থায়ীভাবে দায়িত্ব দেওয়া হয়। পরবর্তীতে প্রফেসর জিল্লুর রহমানের মৃত্যুর পর সিনিয়র প্রফেসর ড. সুজাহাঙ্গীর কবির সরকারকে দুই বছরের জন্য উক্ত দায়িত্ব অর্পণ করা হয়।

প্রতিবাদপত্রে প্রফেসর ড. সুজাহাঙ্গীর কবির সরকারকে একজন সৎ, আদর্শবান, শিক্ষার্থীবান্ধব শিক্ষক হিসেবে বর্ণনা করে বলা হয়, তিনি দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসনিক ও একাডেমিক দায়িত্ব পালন করছেন। ২০২৪ সালের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনসহ গত দেড় দশকের বিভিন্ন গণতান্ত্রিক আন্দোলনে তিনি সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছেন এবং বিগত ফ্যাসিস্ট আমলে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।

প্রতিবাদপত্রে আরও বলা হয়, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা শাখার পরিচালকের দায়িত্ব সাধারণত সিনিয়র প্রফেসরগণই পালন করে থাকেন। অথচ প্রতিবাদিত সংবাদে উল্লেখিত ড. এবিএম সাইফুল ইসলাম সম্প্রতি অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর হয়েছেন এবং প্রফেসর পদে উন্নীত হতে আরও সময় প্রয়োজন। তাই তাকে দায়িত্ব না দেওয়ার বিষয়টি নিয়মতান্ত্রিক এবং কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নয়।

- বিজ্ঞাপন -

পবিপ্রবি কর্তৃপক্ষ মনে করে, এ ধরনের সংবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত শিক্ষক সমাজ ও প্রশাসনিক কাঠামোকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা, যা অত্যন্ত দুঃখজনক ও নিন্দনীয়। ভবিষ্যতে এ ধরনের অপসংবাদ প্রকাশে দায়িত্বশীলতা ও সাংবাদিকতার ন্যূনতম নৈতিক মানদণ্ড বজায় রাখার আহ্বান জানানো হয়েছে।

এছাড়া দেশের সব গণমাধ্যম, অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়াকে প্রতিবাদপত্রটি যথাযথ গুরুত্বসহকারে প্রকাশের অনুরোধ জানিয়েছে পবিপ্রবি প্রশাসন।

আপনার মন্তব্য লিখুন

- Google -

আরও পড়ুন

Back to top button