চিকিৎসক সংকটে বন্ধের পথে কলাপাড়া হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা

পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলায় সরকারি চিকিৎসা ব্যবস্থার চরম অব্যবস্থাপনার কারণে প্রায় তিন লাখ মানুষ স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হয়ে পড়েছেন। নদী ও বঙ্গোপসাগর বেষ্টিত এই উপকূলীয় জনপদে মূলত মৎস্য ও কৃষি নির্ভর জনগোষ্ঠী বসবাস করে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরেই তারা চিকিৎসা সেবায় চরম বৈষম্যের শিকার।
উপজেলা ৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে রোগ নির্ণয়ের গুরুত্বপূর্ণ আলট্রাসনোগ্রাম ও এক্সরে মেশিন বহুদিন ধরে নষ্ট। অ্যানেস্থেসিয়া ও সার্জারি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না থাকায় অস্ত্রোপচার কার্যক্রম সম্পূর্ণভাবে বন্ধ রয়েছে। ওটি (অপারেশন থিয়েটার) থাকলেও তার সরঞ্জামাদি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ব্যবহারের অভাবে। তেলের অভাবে জেনারেটর চালানো যায় না। ফলে বিদ্যুৎ চলে গেলে রোগীদের পড়তে হয় চরম গরম ও অন্ধকারে। হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ময়লা, দুর্গন্ধ, এবং টিকটিকি-পোকামাকড়ের দৌরাত্ম্য ‘ভুতুড়ে পরিবেশ’ তৈরি করেছে।
উপজেলায় ৩৬টি চিকিৎসকের পদের বিপরীতে কর্মরত মাত্র ২-৩ জন চিকিৎসক। কুয়াকাটা হাসপাতাল, মহিপুর উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র ও ইউনিয়ন পর্যায়ের কেন্দ্রগুলো একেবারে শূন্যপদে চলছে। ফলস্বরূপ, প্রতিদিনের গড়ে ২৫০-৩০০ রোগী সেবা না পেয়ে হয়রানির শিকার হচ্ছেন।
আলট্রাসনোগ্রাফি মেশিন বিকল থাকায় গর্ভাবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা করতে রোগীদের প্রাইভেট ডায়াগনস্টিক সেন্টারে যেতে হচ্ছে, যেখানে খরচ তুলনামূলক অনেক বেশি। এসব পরীক্ষা মূলত সরকারি হাসপাতালে স্বল্পমূল্যে হবার কথা।
# সংগ্রহিত




আপনার মন্তব্য লিখুন