পবিপ্রবি ভিসি’র সাথে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ডিজির সৌজন্য সাক্ষাৎ

জ্ঞান, শ্রদ্ধা আর স্মৃতির এক অনুপম সংমিশ্রণে বুধবার বিকেলে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) অনুষ্ঠিত হলো এক হৃদ্যতাপূর্ণ সৌজন্য সাক্ষাৎ। বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. কাজী রফিকুল ইসলাম এর সাথে সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হন খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ ইউনিট (এফপিএমইউ)-এর মহাপরিচালক এবং বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র মোঃ মাহবুবুর রহমান।
সন্ধ্যা পেরোনো আলোয় যখন ক্যাম্পাস ঘুমায় এক নিবিড় নিস্তব্ধতায়, তখন প্রশাসনিক ভবনের ভাইস-চ্যান্সেলরের কার্যালয়ে এক উষ্ণ, স্নেহমাখা পরিবেশে এই সাক্ষাৎ পরিণত হয় অতীতের স্মৃতি ও বর্তমানের মর্যাদার এক অবিস্মরণীয় মিলনে। দুজনই একসময় ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র—সেই ছাত্রজীবনের একবছরের ব্যবধান আজ যেন আরও কাছাকাছি টেনে আনে তাঁদের। বড় ভাইয়ের মতো শ্রদ্ধেয় মাহবুবুর রহমান এবং স্নেহভাজন প্রফেসর ড. কাজী রফিকুল ইসলাম—আজ তাঁরা নিজ নিজ ক্ষেত্রের শীর্ষে, অথচ হৃদয়ের বন্ধনটি এখনও প্রগাঢ়।
সাক্ষাৎকালে ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. কাজী রফিকুল ইসলাম পবিপ্রবির পক্ষ থেকে মহাপরিচালক মাহবুবুর রহমানকে সম্মাননা ক্রেস্ট ও স্মারক উপহার প্রদান করেন। সেই মুহূর্তটি হয়ে ওঠে সৌজন্য, শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার এক অনন্য নিদর্শন। ছিল না কোনো আনুষ্ঠানিকতার কাঠিন্য, বরং ছিল আন্তরিকতার কোমলতা, স্বীকৃতির উষ্ণতা।
এই সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এস.এম. হেমায়েত জাহান, ট্রেজারার প্রফেসর মোঃ আবদুল লতিফ, রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. মোঃ ইকতিয়ার উদ্দিন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর উন্নয়ন ও ওয়ার্কস বিভাগ এর প্রকল্প পরিচালক মোঃ ওবায়দুল হাসানসহ বিভিন্ন অনুষদের শিক্ষক ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের উপস্থিতি সাক্ষাৎকে করে তোলে আরও প্রাণবন্ত ও মর্যাদাপূর্ণ।
মোঃ মাহবুবুর রহমান একজন অতিরিক্ত সচিব হিসেবে বাংলাদেশ সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছেন। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ এফপিএমইউ–এর মহাপরিচালক হিসেবে তিনি দেশের খাদ্য পরিকল্পনা, নিরাপত্তা এবং গবেষণাক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রেখে চলেছেন। এই সাক্ষাৎকালে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সঙ্গে নীতি-ভিত্তিক গবেষণা, কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা বিষয়ে ভবিষ্যৎ সহযোগিতার সম্ভাবনা নিয়ে মূল্যবান মতবিনিময় করেন।
এই সৌজন্য সাক্ষাৎ নিছকই একটি প্রথাগত সাক্ষাৎ ছিল না। এটি ছিল অতীতের শিক্ষা-সংযোগের এক উজ্জ্বল উদাহরণ, হৃদয়ের বন্ধনের প্রতীক এবং ভবিষ্যতের সম্ভাবনার আলোকবর্তিকা। এমন আন্তরিক মিলন ভবিষ্যতের শিক্ষা, গবেষণা ও প্রশাসনিক অগ্রযাত্রাকে করবে আরও সুদৃঢ়, সংবেদনশীল ও মানবিক।
				
					
					



আপনার মন্তব্য লিখুন