For Advertisement

ফোনে পরিচয়-প্রেম, বিয়ের দুদিন পরই নববধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার!

২৭ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০০:১৫

নীরব মিয়ার স্ত্রী রিয়া আক্তার। 

মোবাইল ফোনে পরিচয়-প্রেম। পরে বিয়ে। তবে এই বিয়ের দুই দিন পার হতেই নববধূর মরদেহ উদ্ধার করছে পুলিশ।

শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) উপজেলার কালীদাস ঠকানিয়াপাড়া এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

নববধূর নাম রিয়া আক্তার (১৯)। তিনি ওই এলাকার সৌদিপ্রবাসী নীরব মিয়ার সদ্য বিবাহিত স্ত্রী ছিলেন।

শনিবার (২৬ এপ্রিল) মরদেহের ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
 
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ছয় মাস আগে সখীপুর উপজেলার কালীদাস ঠকানিয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা সৌদিপ্রবাসী নীরব মিয়ার (২৭) সঙ্গে রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার আমিরুল শাহর মেয়ে রিয়া আক্তারের মোবাইল ফোনে প্রেমের সম্পর্ক হয়।
 
নীরব সৌদি আরব থাকা অবস্থাতেই রিয়া তার বাড়িতে আসা-যাওয়া শুরু করেন। ১৬ এপ্রিল নীরব সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরে সরাসরি প্রেমিকা রিয়ার বাড়িতে ওঠেন।
 
 
২৩ এপ্রিল পারিবারিকভাবে বিয়ে করে রিয়াকে সখীপুরে নিয়ে আসেন নীরব। শুক্রবার বিকেলে রিয়া তার বাবাকে স্বামীর বাড়ি থেকে বিদায় দিয়ে স্বামীর ঘরেই অবস্থান করছিলেন। কিন্তু হঠাৎ ভেতর থেকে দরজা বন্ধ দেখে পরিবারের লোকজন তাকে ডাকাডাকি শুরু করেন। কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে একপর্যায়ে বেড়া কেটে ঘরে প্রবেশ করলে ওই নববধূর ঝুলন্ত মরদেহ পাওয়া যায়।
 
খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
 
রিয়ার স্বামীর পারিবারিক একটি সূত্র জানায়, নববধূ রিয়ার বাবা-মা পৃথক থাকেন। তাদের বিয়েতে বাবা রাজি থাকলেও মায়ের মত ছিল না। মায়ের সঙ্গে অভিমান করেই তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সখীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) তামজিদ মোমেন তনয় বলেন, ‘প্রাথমিক সুরতহাল তদন্তে আত্মহত্যা বলেই মনে হয়েছে। তবুও লাশের ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল মর্গে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট হাতে পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

For Advertisement

Unauthorized use of news, image, information, etc published by দৈনিক আমাদের পটুয়াখালী is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.

Comments: