For Advertisement
মাদরাসায় প্রযুক্তি শিক্ষার জন্য কাতার চ্যারিটির সহযোগিতা কামনা : প্রধান উপদেষ্টা

প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশে লাখ লাখ মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের জন্য প্রযুক্তি শিক্ষা চালু করতে কাতার চ্যারিটির সহযোগিতা কামনা করেছেন। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দোহায় আর্থনা সম্মেলনের ফাঁকে কাতার চ্যারিটির ভারপ্রাপ্ত প্রধান নওয়াফ আবদুল্লাহ আল হাম্মাদির সঙ্গে বৈঠকে প্রফেসর ইউনূস বাংলাদেশে সংস্থাটির এতিম পৃষ্ঠপোষকতা কর্মসূচি এবং রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য এলপিজি বিতরণসহ চলমান মানবিক প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন।
তিনি মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের কম্পিউটার প্রোগ্রামিং, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং অন্যান্য প্রযুক্তিভিত্তিক দক্ষতার মতো উদীয়মান প্রযুক্তি শেখার আগ্রহের ওপর জোর দেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের জন্য যেকোনও সহযোগিতাকে আমরা স্বাগত জানাবো।’ তিনি বলেন, ‘কাতার চ্যারিটি বাংলাদেশি মাদ্রাসাগুলোর সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত হতে পারে এবং তাদের পাঠ্যক্রমে প্রযুক্তি অন্তর্ভুক্ত করার প্রচেষ্টায় সহায়তা করতে পারে।’
ড. ইউনূস আরও বলেন, ‘মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা খুব দ্রুত শিখতে পারে। তারা দ্রুত এই দক্ষতাগুলো রপ্ত করবে।’
জবাবে কাতার চ্যারিটি প্রধান উল্লেখ করেন যে, সংস্থাটি ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি মাদ্রাসাকে জীবন-দক্ষতা এবং জীবিকা কর্মসূচিতে সহায়তা করেছে। তিনি আশ্বাস দেন যে, প্রস্তাবটি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা হবে।
সংলাপে কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য অব্যাহত মানবিক সহায়তা নিয়েও আলোচনা হয়। প্রফেসর ইউনূস কাতার চ্যারিটির প্রতি এলপিজি বিতরণ প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে এবং শরণার্থীদের জন্য শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে সহায়তা বাড়ানোর আহ্বান জানান।
নারী শিক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশে মেয়েদের, বিশেষ করে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের জন্য সুনির্দিষ্ট সহায়তার আহ্বান জানান।
দুই নেতা বাংলাদেশের ক্ষুদ্রঋণ উদ্যোগ এবং দারিদ্র্য বিমোচনে এর কার্যকর ভূমিকা নিয়েও আলোচনা করেন। প্রফেসর ইউনূস দারিদ্র্য বিমোচনে প্রচার ও কার্যকারিতা বাড়াতে বাংলাদেশের বেসরকারি ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে অংশীদারত্ব অন্বেষণে কাতার চ্যারিটিকে উৎসাহ দেন।
For Advertisement
Unauthorized use of news, image, information, etc published by দৈনিক আমাদের পটুয়াখালী is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.
Comments: