লোহালিয়ায় নদীর তীর কেটে মাটি পাচার, প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি এলাকাবাসীর

পটুয়াখালী সদর উপজেলার লোহালিয়া ইউনিয়নের কাকড়াবুনিয়া গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে নদীর তীর কেটে বিপুল পরিমাণ মাটি পাচারের অভিযোগ উঠেছে। এলাকাবাসীর দাবি, গভীর রাত কিংবা দিনের আলো কখনো পল্টন আবার কখনো ভেকু (এক্সকাভেটর) ব্যবহার করে এসব মাটি উত্তোলন করা হচ্ছে। পরে তা বিক্রি হচ্ছে স্থানীয় বিভিন্ন ইটভাটায়।
এলাকাবাসী জানান, নদীর তীর ভাঙনের মুখে থাকা এই গ্রামে মাটি কেটে নেওয়ায় জমি ও বসতভিটা ঝুঁকির মধ্যে পড়ছে। এর ফলে একদিকে নদীর প্রাকৃতিক প্রবাহ ব্যাহত হচ্ছে, অন্যদিকে ভাঙনের আশঙ্কা আরও বাড়ছে।
বুধবার রাতেও মাটি কাটতে গিয়ে এলাকাবাসীর হাতে ধরা পড়ে একটি পল্টন ও ভেকু। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে যান পটুয়াখালী সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. তাসফীরুল হক মুন। তিনি রাত ১২টার দিকে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন। এ সময় মাটি কাটার অপরাধে জড়িত দুইজনকে কারাদণ্ড দেওয়া হলেও সরেজমিন যেয়ে ব্যবহৃত পল্টন ও ভেকুটি ওই স্থানেই দেখা যায়।
এ ব্যাপারে পটুয়াখালীর সহকারী কমিশনার ভূমি তাসফীরুল হক মুন জানান, “মাটি কাটার বিরুদ্ধে আমরা নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছি। গতকাল রাতেও দুইজনকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তবে মাটি কাটার সরঞ্জাম জব্দ করা যায়নি।
এদিকে ঘটনার একদিন পার হলেও নদীর তীরে পড়ে থাকা পল্টন ও ভেকু এখনও সরানো হয়নি। এতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন স্থানীয়রা। তারা বলছেন, প্রশাসনের কঠোর নজরদারি না থাকায় একদল অসাধু ব্যবসায়ী বারবার নদীর পাড় কেটে মাটি পাচার করছে।
এলাকাবাসীর দাবি, নদীর জমি ও ঘরবাড়ি রক্ষায় দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। তাদের আশঙ্কা, অবৈধ মাটি উত্তোলন বন্ধ না হলে অচিরেই পুরো এলাকায় ভয়াবহ নদীভাঙন শুরু হতে পারে।
স্থানীয়দের প্রত্যাশা, প্রশাসন দ্রুত অভিযান চালিয়ে পল্টন ও ভেকু জব্দ করবে এবং সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে।
আপনার মন্তব্য লিখুন