রিজিকে সংকট! যে ৪ ভুল জীবন থেকে বরকত কেড়ে নেয়

রিজিক বা জীবিকা আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে প্রদত্ত অনন্য নিয়ামত। মানুষ যত পরিশ্রমই করুক, আল্লাহর ইচ্ছা ছাড়া একবিন্দু রিজিকও অর্জন করা সম্ভব নয়। বাস্তবে দেখা যায়, কারও আয় অনেক হলেও জীবনে বরকত থাকে না; আবার কেউ সামান্য উপার্জনেই সুখ ও শান্তিতে দিন কাটায়। এর পেছনে আছে কিছু আধ্যাত্মিক ও নৈতিক কারণ। ইসলামের দৃষ্টিতে গুনাহ ও অবাধ্যতা রিজিক হ্রাসের অন্যতম বড় কারণ। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, মানুষ গুনাহের কারণে রিজিক থেকে বঞ্চিত হয়

- বিজ্ঞাপন -

মিথ্যা, সুদ গ্রহণ, হারাম উপার্জন, প্রতারণা, ব্যভিচার, পরনিন্দা ও অন্যের হক নষ্ট করার মতো পাপ মানুষকে আল্লাহর রহমত থেকে দূরে সরিয়ে দেয়। ফলে জীবনে অশান্তি, অস্থিরতা ও সংকট দেখা দেয়। কারও অর্জিত অর্থ বাহ্যিকভাবে বেশি দেখা গেলেও তাতে প্রকৃত প্রশান্তি ও সন্তুষ্টি থাকে না। একইভাবে অকৃতজ্ঞতা ও অহংকারও রিজিক সংকুচিত করে। কোরআনে বলা হয়েছে, যদি মানুষ কৃতজ্ঞ হয় তবে আল্লাহ তার নেয়ামত বাড়িয়ে দেন, আর অকৃতজ্ঞ হলে শাস্তি কঠিন হয়। আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করাও রিজিক কমে যাওয়ার কারণ। হাদিসে এসেছে, যারা আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখে আল্লাহ তাদের রিজিক বাড়িয়ে দেন এবং আয়ুও বৃদ্ধি করেন। আবার জাকাত ও দান-সদকা না করা রিজিক সংকীর্ণ করে দেয়, কারণ আল্লাহ তাআলা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তাঁর পথে ব্যয় করলে তিনি তার উত্তম প্রতিদান দেন। এছাড়া নামাজে গাফিলতি, অপচয়, হিংসা, কপটতা, পারিবারিক অশান্তি এবং আল্লাহর ওপর ভরসার অভাবও রিজিক থেকে বরকত উঠিয়ে দেয়।

রিজিক বৃদ্ধির জন্য তাকওয়া অবলম্বন করা, নামাজের প্রতি যত্নবান হওয়া, নিয়মিত ইস্তিগফার করা, আত্মীয়তার সম্পর্ক দৃঢ় রাখা, হালাল উপার্জনে অটল থাকা এবং দান-সদকায় অভ্যস্ত হওয়া সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। প্রকৃত রিজিক কেবল অর্থ সম্পদ নয়; বরং আল্লাহর সন্তুষ্টি, শান্তি ও বরকতপূর্ণ জীবনই আসল রিজিক।

- বিজ্ঞাপন -

আপনার মন্তব্য লিখুন

- Google -

আরও পড়ুন

Back to top button