মিষ্টি খাওয়ার সঠিক সময় কখন

ওজন বৃদ্ধি কিংবা ডায়াবেটিসের আশঙ্কায় অনেকেই চিনি একেবারে খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দিয়ে থাকেন। পুষ্টিবিদ ও চিকিৎসকদের পরামর্শও বলে, সুস্থ থাকতে অতিরিক্ত চিনি পরিহার করাই শ্রেয়। তবে যদি প্রশ্ন আসে, চিনি খেয়ে কি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব? পুষ্টিবিদ সুচরিতা গঙ্গোপাধ্যায়ের মতে, তা সম্ভব—শুধু জানতে হবে সঠিক সময়টা।

- বিজ্ঞাপন -

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে পুষ্টিবিদ সুচরিতা বলেন, আপনি কী খাচ্ছেন, তার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো কখন খাচ্ছেন। চিনি দেওয়া চা-কফি, আইসক্রিম, কেক-পেস্ট্রি—সবই খাওয়া যেতে পারে নির্দিষ্ট সময়ে, সীমিত পরিমাণে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একেবারেই খালি পেটে মিষ্টি জাতীয় কিছু খাওয়া বিপজ্জনক। ঘুম থেকে উঠেই রসগোল্লা কিংবা মিষ্টি কোনও খাবার খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাৎ বেড়ে যেতে পারে। এজন্য সকালে কিংবা নাস্তার সময় মিষ্টি এড়িয়ে চলাই ভালো।

দুপুরের খাবারের পর তুলনামূলকভাবে মিষ্টি খাওয়ার সময় হিসেবে উপযোগী। এই সময় দেহের বিপাকক্রিয়া বেশি সক্রিয় থাকে, ফলে শরীর গ্রহণযোগ্য মাত্রায় চিনি হজম করতে সক্ষম হয়।

অন্যদিকে দুপুরের খাবারের পর তুলনামূলকভাবে মিষ্টি খাওয়ার সময় হিসেবে উপযোগী। এই সময় দেহের বিপাকক্রিয়া বেশি সক্রিয় থাকে, ফলে শরীর গ্রহণযোগ্য মাত্রায় চিনি হজম করতে সক্ষম হয়। তবে রাতের খাবারের পর মিষ্টি খাওয়ার প্রবণতা থেকে বিরত থাকা জরুরি। কারণ রাতে শরীরের চলাচল কমে যায়, ফলে অতিরিক্ত শর্করা দেহে জমা হয়ে যেতে পারে।

- বিজ্ঞাপন -

শুধু রসগোল্লা বা সন্দেশ নয়, অনেক পানীয়, প্রসেসড ফুড ও সসেও লুকিয়ে থাকে চিনি। তাই খাদ্য বেছে নেয়ার সময় প্যাকেটের গায়ে থাকা উপাদান তালিকা পড়ে নেয়া জরুরি।

অতএব, মিষ্টিপ্রেমীদের জন্য সুখবর—মিষ্টি খাওয়া পুরোপুরি বাদ না দিয়েও সময় জেনে খেলে রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। শুধু দরকার, সচেতনতা আর সামান্য সময়জ্ঞান।

আপনার মন্তব্য লিখুন

- Google -

আরও পড়ুন

Back to top button