মির্জাগঞ্জে ঠিকাদারকে পেটানোর সেই ঘটনায় আদালতের নির্দেশে ছাত্রদল নেতা সহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা 

 

- বিজ্ঞাপন -

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে চাঁদা না দেওয়ায় ঠিকাদার বশির আলমের ওপর প্রকাশ্যে সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। রোববার (১৬ নভেম্বর) মির্জাগঞ্জ উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বশির আলম নিজে বাদী হয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। আদালত অভিযোগটি গ্রহণ করে মির্জাগঞ্জ থানার ওসিকে মামলাটি এজহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন।
মামলায় উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আবুল বাশার মোকলেছ ও তার সহযোগী সাইফুল, হাসান রাড়ি, মাসুম হাওলাদার, হাফিজুর ঢ়াড়ী ও সেজান জাকিরসহ আরও অজ্ঞাতনামা ১০–১৫ জনকে আসামি করা হয়।

মামলায় বশির আলম উল্লেখ করেছেন, ঘটনার আগে অভিযুক্তরা নিয়মিতভাবে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করত। টাকা না দিলে তাকে ‘চিরতরে শেষ করে দেওয়া হবে’ বলে হুমকি দেওয়া হতো। হামলাকারীরা তার মাথা, শরীর ও মুখে বেধড়ক মারধর করে হত্যার উদ্দেশ্যে ফেলে রেখে যায়। এজাহারে আরও বলা হয়েছে, অতীতে সাইফুল মাদক মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছিল, তাই হামলার পেছনে দাগি অপরাধী চক্রের সম্পৃক্ততা রয়েছে।

ঘটনাটি ঘটে ১২ নভেম্বর রাতের দিকে সুবিদখালী বাজারের নান্নু মার্কেটের সামনে। পরে এ ঘটনার একটি সিসিটিভি ফুটেজ ভাইরাল হয়। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, সাইফুল প্রথমে একটি চেয়ার দিয়ে বশির আলমকে আঘাত করেন। এরপর আরও ৭–৮ জন এসে বেধড়ক মারধর শুরু করেন। কিল-ঘুষি ও লাথিতে গুরুতর আহত হন বশির। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে মির্জাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসকরা তাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন।

এব্যাপারে জানতে চাইলে মির্জাগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আবুল বাশার মোকলেছ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, এটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং তিনি এ ঘটনায় জড়িত নয়।

- বিজ্ঞাপন -

মির্জাগঞ্জ থানার ওসি নজরুল ইসলাম জানিয়েছেন, আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী এজহার গ্রহণ করা হবে এবং প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

চিকিৎসাধীন বশির আলম জানিয়েছেন, একাধিকবার থানায় হুমকির বিষয়টি জানিয়েও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তিনি ন্যায়বিচার ও নিজের জীবনের নিরাপত্তা চাচ্ছেন।

আপনার মন্তব্য লিখুন

- Google -

আরও পড়ুন

Back to top button