বিএনপির কোন নেতা শালিস বৈঠকে অংশ নিলেই দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে নেয়া হবে ব্যবস্থা

জেলা থেকে ইউনিয়ন কিংবা ওয়ার্ড পর্যন্ত কোন জায়গায় সালিশী বৈঠকে অংশ নেয়া যাবে না। যেকোন ধরনের সালিশীতে অংশ নিলেই, সেটি দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ হিসেবে গণ্য হবে এবং সাংগঠনিক বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে— এমন নির্দেশনা দেয়া হয়েছে পটুয়াখালী জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে।
মূলত দলের সকল স্তরের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে নির্দেশনাটি। এই নির্দেশনায় শুধু সালিশই নয় আছে যেকোন ধরনের দাঙ্গা-ফ্যাসাদ বা পক্ষপাতমূলক মধ্যস্থতাকারী কার্যক্রমে সম্পৃক্ততায় না থাকার কথাও বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মুজিবুর রহমান টোটন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দেয়া হয়।
বিজ্ঞপ্তিটি বুধবার দিনভর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এবং বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা এটিকে ‘ভাল ও সময়োপযোগী’ পদক্ষেপ বলে ফেসবুকে প্রচার চালাতে থাকে।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের সংগ্রামী সংগঠন। এ দলের প্রতিটি কর্মী জনগণের আস্থার প্রতীক এবং আন্দোলন-সংগ্রামের অগ্রণী সৈনিক। দলের ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ণ রাখা ও সাংগঠনিক শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে পটুয়াখালী জেলা বিএনপি ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের কোনো নেতা-কর্মী স্থানীয়ভাবে কোনো প্রকার সালিশ, দাঙ্গা-ফ্যাসাদ বা পক্ষপাতদুষ্ট মধ্যস্থতাকারী কার্যক্রমে সম্পৃক্ত না থাকতে নির্দেশ প্রদান করা হল।
আরও বলা হয়, সকল স্তরের নেতা-কর্মীকে কেবলমাত্র রাজনৈতিক কর্মসূচি, সাংগঠনিক দায়িত্ব এবং জনগণের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে সম্পূর্ণভাবে নিয়োজিত থাকতে হবে। আমাদের সকল নেতা-কর্মীকে জনগণের সাথে সর্বদা হাস্যোজ্জ্বল, ভদ্র ও অমায়িক ভাষায় আচরণ করতে হবে। জনগণই আমাদের শক্তি ও আন্দোলনের মূলভিত্তি তাই প্রত্যেকে জনগণের আস্থার জায়গায় দাঁড়িয়ে তাদের পাশে থেকে দায়িত্বশীল, মানবিক ও সহমর্মী আচরণ প্রদর্শন করবেন। এতে দলীয় ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল হবে। এ নির্দেশনা অমান্য করলে তা দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ হিসেবে গণ্য হবে এবং সাংগঠনিক বিধি মোতাবেক যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জেলা ইউনিট থেকে শুরু করে ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের সকল নেতা-কর্মীকে এ নির্দেশনা যথাযথভাবে পালনের আহ্বানও জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
প্রসঙ্গত, পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন, সদর উপজেলার ইটবাড়িয়া, লোহালিয়া ইউনিয়নসহ বেশ কিছু ইউনিয়ন বিএনপির নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে সালিশ বৈঠকে আর্থিক লেনদেনসহ বিভিন্ন রকমের অভিযোগ উঠে আসছে গত কয়েকমাস ধরে। সম্প্রতি এ ইস্যুতে জেলার সিনিয়র নেতৃবৃন্দরাও নানা রকমের প্রশ্নের সম্মুখীন হন।
আপনার মন্তব্য লিখুন