For Advertisement
বাউফলে দাখিল পরীক্ষা কেন্দ্রে বিশেষ সুবিধা দেওয়ার অভিযোগ

বাউফলের ধানদি কামিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে দাখিল পরীক্ষায় বিশেষ সুবিধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় চলছে তোলপাড়।
সংশ্লিষ্টসূত্রে জানা গেছে, ওই মাদ্রাসা কেন্দ্র থেকে এ বছর মোট ২৬৩ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিচ্ছে। মঙ্গলবার আরবি দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষায় প্রতিটি কক্ষে মৌলভি শিক্ষককে কক্ষ পরিদর্শকের দায়িত্ব দিয়ে বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয় পরীক্ষার্থীদের। এর আগে বৃহস্পতিবার কুরআন মজিদ বিষয়ের পরীক্ষায় প্রত্যেক কক্ষে ১ জন মৌলভিকে পরিদর্শক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়।
নিয়মানুযায়ী আরবি বিষয়ের পরীক্ষা সাধারণ বিষয়ের শিক্ষক আর সাধারণ বিষয়ের পরীক্ষায় আরবি বিষয়ের শিক্ষক কক্ষ পরিদর্শকের দায়িত্ব পালন করবেন। নিয়ম ভেঙে এভাবে পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়টি ফাঁস হওয়ায় অন্যান্য পরীক্ষাকেন্দ্রগুলোতে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
তালিকায় দেখা যায়, মঙ্গলবার আরবি দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষার ১ নং কক্ষে রামনগর-তাতেরকাঠি দাখিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক মো. শাহাবুদ্দিনের সঙ্গে কক্ষ পরিদর্শকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বড়ডালিমা দাখিল মাদ্রাসার সহকারী মৌলভি সোহরাব হোসেনকে। ৪নং কক্ষে সুলতানাবাদ ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক মো. ওবায়দুল্লাহর সঙ্গে বড় ডালিমা দাখিল মাদ্রাসার সহকারী মৌলভি শামিমা নাসরিনকে এবং ৫ নং কক্ষে বড় ডালিমা দাখিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক মহসীন উদ্দিনের সঙ্গে ছয়হিস্যা বালিকা দাখিল মাদ্রাসার সহকারী মৌলভি রাজিয়া বেগমকে কক্ষ পরিদর্শকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
এদিকে পরীক্ষা কেন্দ্রে সাধারণত প্রথম শ্রেণির একজন কর্মকর্তাকে ইউএনওর প্রতিনিধি হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার নিয়ম রয়েছে।
সেখানে উপজেলা নির্বাহী অফিসারে অফিস সহকারী শাহাবু্িদ্দন মুন্সিকে ধানদি কামিল মাদ্রাসার পরীক্ষা কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়েও ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
কুরআন মজিদ ও আরবি বিষয়ের পরীক্ষায় মৌলভীদের কক্ষ পরিদর্শকের দায়িত্ব প্রদানের বিষয়টি অস্বীকার করে ওই মাদ্রাসার কেন্দ্র সচিবের দায়িত্বে থাকা সুলতানাবাদ ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা মো. মোশারেফ হোসেন বলেন,
সাধারণ বিষয়ের শিক্ষকদেরকে কক্ষ পরিদর্শকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
বিষয়টি জানতে বাউফলের উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আমিনুল ইসলামকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
এ ব্যাপার পটুয়াখালীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) মহসীন উদ্দিন বলেন, ওই পরীক্ষা কেন্দ্রে অনিয়মের বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Unauthorized use of news, image, information, etc published by দৈনিক আমাদের পটুয়াখালী is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.
Latest
For Advertisement
Developed by RL IT BD
Comments: