বাউফলের ছাত্রলীগ নেতা আমিনুল ও শ্রমিক দল নেতা সুমন গ্রেপ্তার

স্টাফ রিপোর্টার, বাউফল :
রাজধানীর বনশ্রী এলাকায় স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে গুলি করে স্বর্ণ ডাকাতির ঘটনায় মামলায় ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে দুজনের বাড়ির পটুয়াখালীর বাউফলে। একজন হলেন উপজেলার কালাইয়া গ্রামের বাসিন্দা মো. আমিনুল ইসলাম (২৮)। তার বাবার মো. ইকবাল মৃধা। গেপ্তার আমিনুল নিষিদ্ধ সংগঠন কালাইয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের প্রভাবশালী নেতা ছিলেন। আমিনুল একজন পেশাদার ডাকাত। এর আগেও একাধিক ডাকাতি মামলায় অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার হয়েছিলেন।
অপরজন হলেন- একই ইউনিয়নের আয়নাবাজ কালাইয়া গ্রামের বাসিন্দা মো. সুমন মোল্লা (৩০)। তার বাবার নাম মো. শাহজাহান মোল্লা। সে কালাইয়া ইউনিয়ন শ্রমিক, ৪নম্বর ওয়ার্ড শাখার সভাপতি।
গতকাল শনিবার বনশ্রীতে ডাকাতির মামলা তাদের গ্রেপ্তার করে গণমাধ্যমের সামনে হাজির করা হলে স্থানীয়ভাবে খোঁজ নিয়ে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ছাত্রলীগ নেতা আমিনুল আগে একাধিক ডাকাতির ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। একের পর এক ডাকাতির ঘটনায় জেলা পুলিশের কয়েকটি টিমের যৌথ তদন্তে আন্তবিভাগ ডাকাল দলের সদস্যরা শনাক্ত হন। অভিযান চালিয়ে ২০২৩ সালের ৯ নভেম্বর আমিনুলসহ সাত ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। ডাকাত দলকে আশ্রয় দেওয়াসহ অস্ত্রের জোগানদাতাও ছিলেন আমিনুল। এ ছাড়া একাধিক ডাকাতির নেতৃত্বেও ছিলেন তিনি। দীর্ঘদিন জেলে থাকার পর সম্প্রীতি জামিনে মুক্তি হয়ে ঢাকা চলে যান আমিনুল।
এদিকে, আমিনুল বনশ্রীতে ডাকাতির ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়ার তার সঙ্গে বাউফলের আওয়ামী লীগের (পটুয়াখালী-২) সাবেক এমপি, এমপিপুত্র রায়হান সাকিব, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক, কালাইয়া ইউপি চেয়ারম্যান সহ দলীয় গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের সাথে ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।
বাউফল উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের সিনিয়র নেতারা আত্মগোপনে থাকায় এবিষয়ে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
অপরিদকে শ্রমিক দল নেতা সুমনের ধানের ‘নিজের ছবি ও পদবী যুক্ত ফেস্টুনে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। ওই ফেস্টুনে বিএনপির কেন্দ্রীয় ও উপজেলা শ্রমিক দল নেতাদের ছবি রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাউফল উপজেলা শ্রমিক দলের আহ্বায়ক হাসান মাহমুদ মঞ্জু বলেন, ‘আমি ওনাকে ব্যক্তিগতভাবে চিনি না। উনি কমিটিতে কীভাবে এলেন বলতে পারছি না। তবে ইউনিয়ন শ্রমিক দলকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে দ্রুত তাঁকে বহিষ্কার করার জন্য।’
ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সভাপতি আবুল বশার সিকদার বলেন, তাকে (সুমন) সাধারণ সদস্য ও দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাউফল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমিনুল পেশাদার ডাকাত এবং তিনি ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। আগেও তাকে ডাকাতির ঘটনায় আগ্নেয়াস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। জামিনে বের হয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছেন।তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
আপনার মন্তব্য লিখুন