“প্রতিবার বৃষ্টিতে শহর ডুবে যায়, তবুও কর্তৃপক্ষ থাকে নিশ্চুপ।
রাকিবুল হাসান অভি

পটুয়াখালী পৌর এলাকার ড্রেনেজ ব্যবস্থা খারাপ হওয়ার কারণে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ চরমে উঠেছে। অনেক এলাকায় সামান্য বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়, যা জনজীবনকে মারাত্মকভাবে ব্যাহত করে। বিশেষ করে বর্ষাকালে এই সমস্যা আরও বেড়ে যায়, এতে রাস্তাঘাট তলিয়ে যায়, চলাচলে সমস্যা হয় এবং জনজীবনে স্থবিরতা নেমে আসে। এছাড়া, অপরিকল্পিত পৌর শহর ও পুকুর মাঠ ডোবা নর্দমা ভরাট হওয়ার কারণেও এই সমস্যার বেশি সৃষ্টি হচ্ছে বলে মনে করছেন পৌর বাসী।
পৌর এলাকার ড্রেনেজ ব্যবস্থা খারাপ হওয়ার কারণে যে সমস্যাগুলো দেখা যাচ্ছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য বিষয়
অপর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থার কারণে সামান্য বৃষ্টিতেই রাস্তাঘাট অলিগলি ও বাসা বাড়ি জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। এতে করে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হয় এবং চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
জলাবদ্ধতা কারনে স্বাস্থ্য ঝুঁকি তো থেকেই যায় বিভিন্ন রোগজীবাণু পরিবেশ তৈরি করে, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি স্বরূপ। বিশেষ করে শিশুদের জন্য এটি মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
জলাবদ্ধতার কারণে যদি আমরা অর্থনৈতিক দিকে লক্ষ্য করি তাহলে আমরা দেখতে পাই ব্যবসা- প্রতিষ্ঠান বড় রকমের ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন, যান চলাচল কিছুটা হলেও চলাচল করছে এবং সাধারণ মানুষ কর্মস্থলে যেতে পারছে না, যার ফলে অর্থনৈতিকভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত হয় পটুয়াখালী পৌরবাসী।
দুর্ঘটনা এত নিতৃ দিনের সঙ্গী জলাবদ্ধতার কারণে রাস্তাঘাট পিচ্ছিল সহ পানিতে তলিয়ে থাকে যে কারণে খারাখণ্ড দেখা কঠিন হয়ে যায় এবং অনেক সময় রাস্তা বোঝা না যাওয়ায় দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে।
যানবাহন চলাচলে সমস্যা লেগে থাকে
জলাবদ্ধতার কারণে যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটে বড় রকমের এবং প্রায়শই যানজট সৃষ্টি হয়। পটুয়াখালী গুরুত্বপূর্ণ সড়ক গুলো তে
এসব সমস্যা সমাধানে কর্তৃপক্ষের দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন, নর্দমা পরিষ্কার করা এবং অপরিকল্পিত নগরায়ন রোধ করার মাধ্যমে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে।
আপনার মন্তব্য লিখুন