পটুয়াখালীতে ১৩ বছরের এক অনাথ ও মৃদু প্রতিবন্ধী শিশু ধর্ষনের অভিযোগে মামলা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে ভুক্তভোগির খালা(মায়ের বোন) বাদী হয়ে পটুয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করে। আদালতের বিচারক নিলুফার শিরিন অভিযোগ গ্রহন করে সদর থানা পুলিশকে মামলা রুজুর নির্দেশ দিয়েছেন। বাদী পক্ষের আইনজীবী উম্মে আসমা আঁখি মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

- বিজ্ঞাপন -

মামলার আইনজীবী উম্মে আসমা আঁখি প্রথম আলোকে বলেন,‘গত ২০ জুন জেলা শহরের একটি সরকারি আবাসনে ১৩ বছরের এক মৃদু প্রতিন্ধী ধর্ষনের শিকার হয়। এঘটনায় আজ মঙ্গলবার দুপুরে ভুক্তভোগির খালা(মায়ের বোন) একুশ বছর বয়সী এক যুবককে আসামি করে পটুয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করেন। আদালতের বিচারক অভিযোগ গ্রহন করে সদর থানাকে মামলার রুজুর নির্দেশ দিয়েছে’। তবে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ভুক্তভোগির করানো শারীরিক পরীক্ষার বিস্তারিত স্বীকার করেননি আইনজীবী।

এজাহারের বাদী উল্লেখ করেন,তিনি পটুয়াখালীর একটি সরকারি আবাসনে ভুক্তভোগিকে নিয়ে বসবাস করেন। বেশ কিছু দিন থেকেই ওই আবাসনের এক যুবক (এজাহারভুক্ত) নানা ভাবে ভুক্তভোগিকে উত্যক্ত করতেন। এরপর গত ২০ জুন বিকাল ৫টার দিকে বাদীর মা (ভুক্তভোগির নানি) আসামির বসত-ঘরে আছেন দাবি করে তাঁকে ডেকে নেয়। ভুক্তভোগি এসময় আসামির কথা বিশ্বাস করে তাঁর ঘরে গেলে তাঁকে জোর করে ধর্ষন করা হয়। ঘটনার সময় ভুক্তভোগি ডাকাডাকি দিলে আসামি ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।

এজাহারে আরও বলা হয়,এরপর বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয় একটি মহল মিমাংসার প্রস্তার দেয় তাঁদের। পরে মিমাংসার নামে একটি মহল বাদী ও তাঁর স্বামীর কাছ থেকে অলিখিত কার্টিজ পেপারে স্বাক্ষর নেয়। এরপর আসামির লোকজনকে মিমাংসার কথা বলা হলে,আসামিকে গুম করার অভিযোগ এনে উল্টো তাঁদের মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়ার হুমকি দেয়া হয়।

এজাহারে আরও বলেন,‘পরবর্তীতে গত ২২ জুন পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ভুক্তভোগির শারীরিক পরীক্ষা করানো হয়। ভুক্তভোগিকে ৫ বছর রেখে তাঁর মা এবং ১০ বছর বয়স রেখে বাবা মারা যান। এরপর বাদী পটুয়াখালীর একটি সরকারি আবাসনে আশ্রয় নিয়ে তাঁকে লালন-পালন করে আসছেন। এছাড়াও ভুক্তভোগি মৃদু প্রতিবন্ধী বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়।

- বিজ্ঞাপন -

আপনার মন্তব্য লিখুন

- Google -

আরও পড়ুন

Back to top button