পটুয়াখালীতে মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রকে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ

পটুয়াখালীতে মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে কায়েস নামের এক ছাত্রকে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে শিক্ষক ও মাদ্রাসার পরিচালক মুফতি আতাউল্লা মুঈনীর বিরুদ্ধে। ওই শিক্ষার্থীর পিঠে ও নিতম্বে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ছাত্রের পরিবারের অভিযোগ ক্ষোভের বশবর্তী হয়ে এমন অমানবিক নির্যাতন করা হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার সকালে পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন খলিফা আবু বকর সিদ্দিক(রা.) হিফজুল কুরআন নাজেরা নূরানী মাদরাসায় এ নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী কায়েশ ওই মাদ্রাসার হিফজ বিভাগের শিক্ষার্থী।
পরিবার জানায়, কায়েশকে এর আগেও বেশ কয়েকবার এভাবে মারধর করা হয়েছে। তারা ভেবেছে হয়ত শিক্ষক শাসন করেছে। কিন্তু বৃহস্পতিবার কায়েশ একাই বাড়ি চলে আসলে গোসলের সময় পিঠে কালো দাগ দেখা যায়। শিক্ষকদের ভয়ে প্রথমে বিষয়টি স্বীকার করেনি। পরে সত্য জানতে চাইলে আঘাতের বিষয়টি স্বীকার করে কায়েশ।
ভুক্তভোগীর চাচা আশিকুর রহমান বলেন, ‘গোসলের সময় পিঠে আঘাতের চিহ্ন দেখতে পাই। আমি আঘাতের বিষয়ে জানতে চাইলে সে বলে, মুখস্থ পড়া দেয়ার সময় আটকে গেলে হুজুর আমাকে ডেকে প্রথমে গালে চড় মারে এবং পরে বেত দিয়ে মারধর করেন। তবে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ বিষয়টি স্বীকার করেছে। শিক্ষক জানান পড়া না পাড়ায় শারীরিকভাবে নির্যাতন করেন তিনি।















আপনার মন্তব্য লিখুন