পটুয়াখালীতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ সক্রীয়, দেখেও চুপ প্রশাসন!

বিশেষ প্রতিবেদক :
সরকারের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী গত ২৩ অক্টোবর থেকে ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ সংগঠন। বাংলাদেশে যেখানে নিষিদ্ধ সংগঠনগুলোর কার্যক্রম আইনগতভাবে বন্ধ থাকার কথা, সেখানে পটুয়াখালীতে ছাত্রলীগ প্রকাশ্যে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সদর রোডসহ বিভিন্ন এলাকায় ছাত্রলীগের একদল ক্যাডার প্রকাশ্যে লিফলেট বিতরণ করেছে। প্রশাসনের রহস্যজনক নিরবতায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাধারণ মানুষ । সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একাধিক ভিডিওতে দেখাগেছে, ছাত্রলীগের কর্মীরা যানবাহন থামিয়ে, দোকানে ঢুকে এবং সাধারণ পথচারীদের হাতে লিফলেট ধরিয়ে দিচ্ছে। কেউ নিতে না চাইলে তাকে জোর করে দেওয়া হচ্ছে। এমনকি তারা বলছে, ‘শেখ হাসিনা বাংলাদেশে চলে আসবেন,’— এই বক্তব্যের উদ্দেশ্য কী, তা নিয়েও জনমনে প্রশ্ন উঠেছে।
সূত্র জানিয়েছে, পটুয়াখালী পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি পদপ্রার্থী সিফাত ও জেলা ছাত্রলীগের কর্মী তানভীরসহ কয়েকজন মিলে এই বিতরণ কার্যক্রম চালিয়েছেন। শুধু তাই নয়, লিফলেট বিতরণের পাশাপাশি তারা পটুয়াখালী সদর থানাধীন বিভিন্ন এলাকার সাধারণ মানুষের বাড়ি-ঘরে ঢুকে তাদের হাতে লিফলেট ধরিয়ে দিয়েছে।
এর আগে, গত ৩০ নভেম্বর ভোরে পটুয়াখালী শহরে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের কর্মীরা ঝটিকা মিছিল করেছিল। তখন বিএনপি-জামাত সহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো বিক্ষোভ মিছিল করলে প্রশাসন গুটিকয়েক কর্মীকে গ্রেপ্তার করে, তবে মূল হোতারা রয়ে যায় ধরা ছোঁয়ার বাইরে। যার ফলে নিষিদ্ধ এই সংগঠনের তাণ্ডব বন্ধ হয়নি এখনো। দিন দিন তারা বেপরোয়া হয়ে উঠছে। নিষিদ্ধ সংগঠনের এমন প্রকাশ্য তাণ্ডবের পরেও জেলা পুলিশ ও প্রশাসনের নির্লিপ্ত ভূমিকায় ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা।
এ ব্যাপারে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পটুয়াখালী জেলা সমন্বয়ক তোফাজ্জল হোসেন আমাদের পটুয়াখালীকে বলেন, ‘এর আগেও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন দেয়ালে ‘জয় বাংলা’ লিখে উসকানি দিয়েছে। আমি বিষয়টি পুলিশ সুপারকে জানিয়েছিলাম, কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এবারও প্রশাসন চুপ থাকবে কিনা, সেটাই দেখার বিষয়।’
সদর থানার ওসি ইমতিয়াজ উদ্দীনকে ফোন করা হলে তিনি জানান, ‘ঢাকায় পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে বিশেষ একটি কাজে থাকায় ভালোভাবে বলতে পারছেন না। তবে সিফাত ও তানভীরের নাম শুনেছেন।
পটুয়াখালী জেলা পুলিশ সুপার আনোয়ার জাহিদ জানান, ‘এ বিষয়ে আমার জানা নেই। তবে আপনার কাছ থেকে শুনলাম। খোঁজ নিয়ে দেখে তারপর বলতে পারব।’
আপনার মন্তব্য লিখুন