দুমকি উপজেলায় নিষিদ্ধ জাল দিয়ে মাছ শিকার, হারিয়ে যাচ্ছে দেশি মাছ

পটুয়াখালী জেলার দুমকি উপজেলার প্রতিটি খাল বিল নদী নালায় নিষিদ্ধ জাল পেতে মাছ ধরার মহোৎসব চলছে। এতে হারিয়ে যাচ্ছে দেশি প্রজাতির মাছ। এ ব্যাপারে প্রশাসনের নীরব ভূমিকায় জনমনে ক্ষোভ সৃষ্টি হচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে, মৎস্য অফিসের লোকজনদের ম্যানেজ করেই এরকম অবৈধ জাল পেতে মাছ শিকারের মহোৎসব চলে। মৎস্য অফিসের লোকজনকে বারবার জানানোর পরও লোকদেখানো ২/১টা অভিযান পরিচালনা করলেও অবৈধ জাল উচ্ছেদ এটি তেমন কোনো ভূমিকা রাখছে না।
উপজেলার নলদোয়ানী খাল, বুদাই খাল, তক্তাখালী খাল ভাড়ানী খাল, গোদার খাল, মোল্লাখালী খাল, বাদ্দার খাল, কচ্ছপিয়ার খাল, গাবতলির খাল, দাসপারা খাল, কদমতলার খাল, পিছাখালির খাল, জামলার খাল, কোহারজোর-সহ অন্তত ২৩টি খাল, সব বিল ও নালায় নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল, ম্যাজিক জাল, সুতিজাল, বেহুন্দি, ভেসাল ও চায়না রিং জালের অবাধ ব্যবহারে দেশীয় মাছগুলো দিনে দিনে হারিয়ে যাচ্ছে।
লেবুখালী ইউনিয়ন মৎস্যজীবী দলের সভাপতি মো. জসীম উদ্দিন বলেন, পায়রা নদী থেকে লেবুখালী ইউনিয়নের মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া ভাড়ানী খালটিতে অবৈধ বেহুন্দি জাল ফেলে অবাধে মাছ শিকার করে চলছে। মৎস্য অফিসকে জানালেও কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় হতাশ এলাকাবাসী।
উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে দেশীয় মাছের সংকট এখন প্রকট। এই সংকটের মূল কারণ অবৈধ জালের অবাধ ব্যবহার। বর্ষা শুরু হতেই এসব জালের মাধ্যমে ডিম ছাড়ার আগেই পোনা মাছ নির্বিচারে ধরা হচ্ছে। ফলে প্রাকৃতিক প্রজনন চক্র ভয়াবহভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
দেশি শোল, বোয়াল, গজার, মাগুর, শিং, কৈ, সরপুঁটি, পাবদা, আইড়, বাইম, খলসে, রিঠা, রঙিন বেতাগা, বাঁশপাতা, রয়না ও কালিবাউস মাছ আজ বিলুপ্তপ্রায়। এসব নিষিদ্ধ জালে শুধু মাছই নয়- সাপ, ব্যাঙ, শামুক ও নানান জলজ প্রাণীও হুমকির মুখে।
এ বিষয়ে দুমকি উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা মো. মাহফুজুর রহমান বলেন, আমাদের অভিযান চলমান আছে। সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
আপনার মন্তব্য লিখুন