ডাকসু নির্বাচন কলঙ্কিত করার চেষ্টা চলছে: মারজান

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ (ইশা) সমর্থিত প্যানেলের এজেন্টদের ভোটকেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনাকে ‘ডাকসু নির্বাচনকে কলঙ্কিত করার চেষ্টা’ বলে উল্লেখ করেছেন জেনারেল সেক্রেটারি (জিএস) পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মো. খায়রুল আহসান মারজান।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকালে এক লিখিত বিবৃতিতে তিনি এ অভিযোগ করেন।
মারজান অভিযোগ করেন, ‘নির্বাচন কমিশনের কাছে যথাযথ প্রক্রিয়ায় এজেন্ট তালিকা জমা এবং ছবিযুক্ত পরিচয়পত্র নেওয়া সত্ত্বেও ইশা সমর্থিত বৈধ এজেন্টদের ভোটকেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। বরং, নির্দিষ্ট একটি ছাত্রসংগঠনের প্রভাবেই দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করছেন বলে দাবি করেন তিনি।’
তার ভাষায়, কমিশনের কাছ থেকে সব নিয়ম মেনে এজেন্ট তালিকা ও কার্ড নেওয়ার পরও আমাদের এজেন্টদের ঢুকতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করে নির্বাচনকে কলঙ্কিত করা হচ্ছে।
খায়রুল আহসান মারজান বলেন, ইউল্যাব কেন্দ্রে সকাল ৮টার আগেই ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের পাঁচজন এজেন্টকে ঢোকার সুযোগ দেওয়া হয়। অথচ, আমাদের একজন এজেন্টকেও প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি, যদিও তার বৈধ পরিচয়পত্র ছিল।
তিনি জানান, বারবার জিজ্ঞেস করলেও দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা কোনো সঠিক ব্যাখ্যা দেননি। এতে প্রশ্ন উঠেছে নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়েও।
তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, কোনো পক্ষপাতদুষ্ট নির্বাচন শিক্ষার্থীরা মেনে নেবে না। আমরা আগে থেকেই আশঙ্কা করছিলাম যে, কমিশনে থাকা সাদা দলের কিছু সদস্য নির্দিষ্ট সংগঠনের হয়ে কাজ করছেন। আজকের ঘটনাই তার প্রমাণ। যদি আমাদের এজেন্টদের সুষ্ঠুভাবে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে না দেওয়া হয় এবং নির্বাচন স্বচ্ছ না হয়, তবে সাধারণ শিক্ষার্থীরা এর জবাব দেবে।
প্রায় ছয় বছর পর আজ অনুষ্ঠিত হচ্ছে ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে ভোটগ্রহণ। এবারের নির্বাচনে মোট ২৮টি কেন্দ্রীয় পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪৭১ জন প্রার্থী। ভোটার সংখ্যা ৩৯,৭৭৫ জন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে, নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
আপনার মন্তব্য লিখুন