বৃহস্পতিবার ২২ মে, ২০২৫

For Advertisement

টাকা ধার দিয়ে নিজের জন্য বিপদ ডেকে আনলেন ভুক্তভোগী পপি

১৬ জানুয়ারি, ২০২৫ ৯:৪৭:৩৫

স্টাফ রিপোর্টার

পটুয়াখালীতে গত বছর মার্চ মাসে বাউফল উপজেলার কানিজা ফাতেমা পপি নামের এক ভুক্তভোগী পার্শ্ববর্তী দুমকি উপজেলার কালাম গাজী নামের এক ব্যাক্তিকে ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ধার হিসেবে দেন। তবে নির্দিষ্ট সময়ে সেই টাকা ফেরত দেয়ার কথা থাকলেও কালাম সেই টাকা ফেরৎ না দিয়ে উল্টো গরু চুরির মামলায় ফাঁসিয়ে দেন পপি ও তার সন্তানকে। এ ঘটনায় হয়রানির শিকার কানিজ ফাতেমা পপি বৃহস্পতিবার(১৬জানুয়ারী) বেলা ১২টায় পটুয়াখালী প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন । এসময় সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভুক্তভোগী পপি। তার বক্তব্যে তিনি বলেন, মোঃ কালাম গাজী, পিতা হানিফ গাজী,ঠিকানা দুমকি। তিনি গত বছর ২০২৪ এর মার্চ মাসের দিকে কয়েকটি গরু ও একটি মাহিন্দ্রা গাড়ি কেনার কথা বলে আমার কাছে ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ধার নেয় এবং জামানত হিসেবে তিনি আমাকে তার স্ত্রীর নামের একটি সমপরিমানের স্বাক্ষর কৃত একটি চেক ও একটি স্ট্যাম্প দেন। এ ঘটনার ছয় মাস পরে তার টাকা ফেরত দেয়ার কথা থাকলেও তিনি টাকা ফেরত না দিলে আমি গত নভেম্বর মাসে কালামদের বাড়ি যাই। তখন তাদের বাড়িতে সেই গরুগুলো দেখতে পাই। এসময় তারা আমাকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে এই গরুগুলো বিক্রি করে টাকা পরিশোধ করার কথা থাকলেও গত ৯ জানুয়ারি তারা আমাকে না জানিয়ে গোপনে গরুগুলো বিক্রি করার উদ্দেশ্যে হাটে নিবে এমন খবর শুনে আমি তাদের বাড়িতে যাই ও গরু বিক্রিতে বাধা দিয়ে বলি আমার টাকা না দিয়ে তারা যাতে গরু বিক্রি না করে। এরপরে আমি তাদের বাড়ি থেকে চলে আসলে তারা ওই দিন আবারো গরু বিক্রি করতে নিয়ে যাওয়ার পথে আমি বাঁধা দিয়ে গরুগুলো আমার বাড়িতে নিয়ে যাই। ১০ জানুয়ারি দুমকি থানা থেকে পুলিশ এসে আমাদের বাড়ি থেকে গরুগুলো নিয়ে যায়। ওই দিন আমাকে থানা থেকে ফোন করে ডাকলে আমি থানায় যাই। সেখানে দুই পক্ষ বসিয়ে সব ডকুমেন্ট দেখতে চায় পুলিশ। এরপরে থানা থেকে আমরা চলে আসি। পরের দিন কালাম গাজীর ভাই আবু সালেহ করা গরু চুরি মামলায় সকালে হঠাৎ আমাকে ও আমার ছেলে তাসমীম ইসলাম-কে দুমকি থানা থেকে পুলিশ ধরে নিয়ে আসে ও কোর্টে পাঠিয়ে দেয়। কোর্ট থেকে আমাদের দুইজনকে জেলে পাঠিয়ে দেয়। আমরা পরবর্তীতে জেল থেকে জামিনে মুক্তি পাই। এই ঘটনায় আমরা অত্যন্ত মান-হানিকর পরিস্থিতিতে পরেছি। আমি এই ঘটনার সুষ্ঠুতদন্ত ও বিচারের দাবি জানাই।

Unauthorized use of news, image, information, etc published by দৈনিক আমাদের পটুয়াখালী is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.


Comments:

Latest

For Advertisement

প্রকাশক: মাহমুদ হোসাইন
সম্পাদক : সিকদার জোবায়ের হোসেন।   স্বত্বাধিকারী : পটুয়াখালী ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন।    

Developed by RL IT BD