জুলাই যোদ্ধা শহীদ জসিমের কন্যা লামিয়া হত্যার মামলার রায় ২২ অক্টোবর

পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার পাংগাশিয়া ইউনিয়নে জুলাই বিপ্লবের শহীদ জসিম উদ্দিনের কিশোরী কন্যা লামিয়াকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলার রায় আগামী ২২ অক্টোবর ঘোষণার তারিখ নির্ধারণ করেছেন আদালত।

- বিজ্ঞাপন -

রবিবার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে পটুয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে ট্রাইব্যুনালের বিচারক রায় ঘোষণার এই তারিখ নির্ধারণ করেন।

মামলার নথি ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার পাংগাশিয়া ইউনিয়নে নিজ বাড়ি থেকে নানা বাড়ি যাওয়ার পথে চলতি বছরের ১৮ মার্চ সন্ধ্যায় লামিয়া সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন।

ঘটনার পর তিনি নিজেই বাদী হয়ে দুমকি থানায় একাধিক আসামির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন (মামলা নং–১১, তারিখ: ১৯-০৩-২৫)। তদন্ত শেষে দুমকি থানার তদন্ত কর্মকর্তা ওসি (তদন্ত) মোঃ রফিকুল ইসলাম ১ মে পটুয়াখালীর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হয় যে, স্থানীয় কয়েকজন তরুণ লামিয়াকে নির্মমভাবে লাঞ্ছিত করে। ঘটনার মানসিক আঘাতে তিনি পরবর্তীতে আত্মহত্যা করেন।

দীর্ঘ তদন্ত ও সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে মামলাটি বিচারিক প্রক্রিয়ায় আসে। রোববার ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে বিচারক মামলাটি রায়ের জন্য ২২ অক্টোবর তারিখ নির্ধারণ করেন।

- বিজ্ঞাপন -

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মোঃ আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, “সাক্ষ্য ও প্রমাণের ভিত্তিতে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। ন্যায়বিচারের স্বার্থে আমরা তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রত্যাশা করছি।”

অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা দাবি করেছেন, তাদের মক্কেলরা নির্দোষ এবং তারা আদালতের কাছে ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করছেন।

রায় ঘোষণার দিন আদালত প্রাঙ্গণে ব্যাপক উপস্থিতি থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে, কারণ মামলাটি জেলার আলোচিত ও স্পর্শকাতর একটি ঘটনা।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২৬ এপ্রিল রাত ৯টার দিকে রাজধানীর শেখেরটেক এলাকার বাসা থেকে জুলাই আন্দোলনের শহীদ জসিম উদ্দিনের কন্যা (১৭) লামিয়ার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগে, শহীদ জসিম হাওলাদার গত বছরের ১৯ জুলাই ঢাকার মোহাম্মদপুরে পুলিশের গুলিতে আহত হয়ে ১০ দিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

আপনার মন্তব্য লিখুন

- Google -

আরও পড়ুন

Back to top button