জুলাই ম্যারাথনে পটুয়াখালীবাসীর প্রাণবন্ত অংশগ্রহণ

ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি এবং এতে শহীদদের স্মরণে ঘোষিত ৩৬ দিনব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে পটুয়াখালীতে অনুষ্ঠিত হলো ‘জুলাই ম্যারাথন’।
শুক্রবার (১৮ জুলাই) সকালে পটুয়াখালী সার্কিট হাউস সংলগ্ন শহীদ হৃদয় তরুয়া চত্বর থেকে শুরু হয়ে ম্যারাথনটি চৌরাস্তা পর্যন্ত পৌঁছায়। পুরো শহরজুড়ে এক ধরনের উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়।
জেলা প্রশাসনের আয়োজনে এবং যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের সহযোগিতায় আয়োজিত এ ম্যারাথনে শত শত নারী ও পুরুষ অংশগ্রহণ করেন। এতে প্রথম দ্বিতীয় তৃতীয় স্থান অধিকার করে মোঃ রাইয়ান, কাইয়ুম মৃধা ও খাইরুল ইসলাম। পরে বিজয়ীদের হাতে জেলা প্রশাসক ক্রেস্ট তুলে দেন।
অংশগ্রহণকারীদের স্লোগান আর মুখের দৃপ্ত উচ্চারণে ফুটে ওঠে গণ-অভ্যুত্থানের চেতনা ও শহিদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা।
অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীন বলেন, গণ-অভ্যুত্থান ছিল এক ঐতিহাসিক ঘটনা, যা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে ছড়িয়ে দিতে হবে। তরুণদের মধ্যে গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার ও অধিকারবোধ জাগ্রত করতেই এ আয়োজনের গুরুত্ব অপরিসীম। তিনি জানান, বর্ষপূর্তির এই কর্মসূচি শুধু স্মরণ নয়, বরং একটি মূল্যবোধনির্ভর সমাজ গঠনের প্রতিশ্রুতিও বহন করে।
পুলিশ সুপার আনোয়ার জাহিদ বলেন, এমন গণমুখী ও ইতিবাচক কর্মসূচি সমাজে সচেতনতা তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, নতুন প্রজন্ম গণ-আন্দোলনের ইতিহাস জানবে এবং ন্যায় ও সত্য প্রতিষ্ঠায় নিজেদেরকে প্রস্তুত করবে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক ও পৌর প্রশাসক জুয়েল রানা, জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা বৃন্দ, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপপরিচালক আব্দুর রশীদ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা সভাপতি হাওলাদার মোহাম্মদ সেলিম মিয়া, পটুয়াখালী জেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম আরিফ, জুলাই শহীদ পরিবারের সদস্যরা, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি, পটুয়াখালী ইয়ুথ ফোরামের সদস্যরা, এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক, প্রশাসনিক, শিক্ষা ও পেশাজীবী সংগঠনের প্রতিনিধিরা।
গণচেতনার অভিযাত্রায় গণমানুষের অংশগ্রহণে পটুয়াখালীর জুলাই ম্যারাথন পেয়েছে এক নতুন মাত্রা।
আপনার মন্তব্য লিখুন