জামায়াত রাষ্ট্রের দায়িত্ব পেলে প্রতিটি মানুষকে স্বাবলম্বী করা হবে: বুলবুল

শনিবার (৫ এপ্রিল) দুপুরে মাতুয়াইল তা’মীরুল মিল্লাত মহিলা কামিল মাদ্রাসা সংলগ্ন মাঠে, দারিদ্র্য বিমোচন ও বেকারত্ব দূরীকরণে আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে আয়োজিত অটোরিকশা বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরও জানান, ‘রাষ্ট্রীয় জুলুম-নির্যাতনের সময়েও জামায়াতে ইসলামীর সমাজসেবা থেমে থাকেনি। বরং বর্তমান অনুকূল পরিবেশে তা পূর্বের তুলনায় দশগুণ গতিতে পরিচালিত হচ্ছে।’
নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামীর চার দফা কর্মসূচির অন্যতম হলো সমাজ সংস্কার ও সমাজসেবা। ১৯৪১ সাল থেকে এই সংগঠন সমাজ সংস্কারে আন্দোলন করে আসছে। ১৯৪৭ সালে ভারত-পাকিস্তান বিভক্তির পরও সমাজে বৈষম্য দূরীকরণের লক্ষ্যে জামায়াতে ইসলামী আন্দোলন চালিয়ে গেছে। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জনের পরও সমাজে বৈষম্য দূর হয়নি। ২০২৪ সালে, স্বাধীনতার ৫৪ বছর পর, জাতি আবারও রাষ্ট্র সংস্কারের দাবিতে দ্বিতীয় স্বাধীনতা অর্জনের পথে এগিয়ে যাচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘যদি কোনো দল, পরিবার বা ব্যক্তি জাতির প্রত্যাশা পূরণে বাধা হয়ে দাঁড়ায়, তবে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে জামায়াতে ইসলামী তাদের প্রতিহত করবে। সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, লুটপাট, দখলদারিত্ব পরিহার করে রাজনৈতিক দলগুলোকে জনগণের প্রত্যাশিত বাংলাদেশ গঠনে এগিয়ে আসতে হবে।” তিনি আওয়ামী ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধের কথা উল্লেখ করে বলেন, “সুখী, সমৃদ্ধ ও বাসযোগ্য বাংলাদেশ গঠনে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘যুবক ও নারী-পুরুষের আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে জামায়াতে ইসলামী বিভিন্ন প্রশিক্ষণ প্রদান করছে, যাতে তারা স্বনির্ভর হয়ে উঠতে পারে।’
কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি, ঢাকা-৫ আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী মোহাম্মদ কামাল হোসেন বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামীর সমাজসেবা কর্মসূচির আওতায় সুবিধাবঞ্চিতদের কল্যাণে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে আজ তিনজন বেকার যুবকের মাঝে তিনটি অটোরিকশা বিতরণ করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামী নির্যাতিত-নিপীড়িত মানুষের পাশে থেকে ধারাবাহিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এসব কার্যক্রম সম্পূর্ণভাবে সংগঠনের নিজস্ব অর্থায়নে পরিচালিত হচ্ছে। ভবিষ্যতে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেলে দুর্নীতি, বৈষম্য, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজিমুক্ত একটি দেশ গড়ে তোলা হবে।’
পরে বিকেলে স্থানীয় একটি কনভেনশন হলে ঢাকা-৫ সংসদীয় এলাকার থানা দায়িত্বশীল ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থীদের নিয়ে ঈদ শুভেচ্ছা ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও ঢাকা-৫ আসনের পরিচালক মোকাররম হোসাইন খান।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মো. নূরুল ইসলাম বুলবুল এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন আব্দুস সবুর ফকির। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সহকারী সেক্রেটারি মোহাম্মদ কামাল হোসেন, কর্মপরিষদের সদস্য সৈয়দ সিরাজুল হক, যাত্রাবাড়ী পূর্ব থানা আমীর শাহজাহান খান, কদমতলী উত্তর থানা আমীর আবদুর রহমান জীবনসহ ঢাকা-৫ সংসদীয় এলাকার বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ডের দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দ।




আপনার মন্তব্য লিখুন