ঘুমের সময়ও হতে পারে হার্ট ফেইলিউর, লক্ষণগুলো জানুন

বর্তমান সময়ে হার্ট ফেইলিউর শুধুই প্রবীণদের রোগ নয়, যে কারো যেকোনো বয়সে দেখা দিতে পারে এই জটিল অবস্থা। হার্ট ফেইলিউর হলো এমন একটি রোগ যার লক্ষণ ও প্রভাব ব্যক্তিভেদে ভিন্নভাবে প্রকাশ পায়। তাই আগাম সচেতনতা ও প্রতিরোধই একমাত্র উপায়।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, হার্ট আমাদের দেহের ‘জেনারেটর’। রক্তের মাধ্যমে প্রতিটি কোষে অক্সিজেন ও পুষ্টি পৌঁছানোর জন্য হার্টের পাম্পিং ক্ষমতা অপরিহার্য। যখন হার্ট সঠিকভাবে রক্ত পাম্প করতে ব্যর্থ হয়, তখন তা হার্ট ফেইলিউর হিসেবে চিহ্নিত হয়।
হার্ট ফেইলিউরের ফলে ফুসফুসে বা শরীরের অন্যান্য অঙ্গে রক্ত জমে নানা জটিলতা দেখা দেয়। উদাহরণস্বরূপ, হাত-পা ফোলা, লিভারে পানি জমা, পেট ফুলে যাওয়া, ক্ষুধামান্দ্য, মাথা ঝিমঝিম বা কিডনির কার্যক্ষমতা হ্রাস।
হার্ট ফেইলিউরকে দুটি ভাগে ভাগ করা হয়:
রিডিউসড ইজেকশন ফ্র্যাকশন – যেখানে হার্টের পাম্পিং ক্ষমতা কমে যায়।
প্রিজার্ভড ইজেকশন ফ্র্যাকশন – যেখানে পাম্পিং ক্ষমতা স্বাভাবিক থাকলেও চাপ বেড়ে কার্যক্ষমতা কমে।
পুরুষদের মধ্যে হার্ট ফেইলিউরের প্রকোপ বেশি এবং সাধারণত রিডিউসড ইজেকশন ফ্র্যাকশন দেখা যায়। এর পেছনে থাকে উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল, ধূমপান ও মদ্যপানের মতো কারণ। নারীদের মধ্যে প্রিজার্ভড ইজেকশন ফ্র্যাকশন বেশি দেখা যায়, বিশেষ করে ৬০ বছরের পর বয়সজনিত কারণে।
চিকিৎসকেরা বলেন, আগাম সতর্কতা ও স্বাস্থ্যপরীক্ষা নিয়মিত করায় হার্ট ফেইলিউরের ঝুঁকি অনেকটাই কমানো সম্ভব। হার্ট অ্যাটাক বা ফেইলিউরের প্রাথমিক ধাপেই চিকিৎসা শুরু করলে মৃত্যু ও জটিলতা কমানো যায়। জীবনযাত্রায় নিয়ম, ডায়েট, ওষুধ ও চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।




আপনার মন্তব্য লিখুন