শুক্রবার ২৩ মে, ২০২৫

For Advertisement

ক্ষমা চাইলেন ছাত্রদলের সেই নেত্রী

১০ এপ্রিল, ২০২৫ ১১:২৮:২৫

কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মানসুরা আলম। ছবি: সংগৃহীত

 

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) চেয়্যারম্যান আশিক চৌধুরীকে নিয়ে সমালোচনা করে স্ট্যাটাস দেওয়ার পর প্রায় ১৪ ঘণ্টা ডিজেবল ছিল কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মানসুরা আলমের ফেসবুক আইডি। তবে আইডি ফিরে পেয়ে ক্ষমা চেয়ে একটি স্ট্যাটাস দেন তিনি।

স্ট্যাটাসে আশিক চৌধুরীকে অসম্মান করা তাদের উদ্দেশ্য ছিল না বলে জানান তিনি। বৃহস্পতিবার বিকালে নতুন আরেক স্ট্যাটাসে তিনি এসব কথা বলেছেন।

স্ট্যাটাসে মানসুরা আলম বলেন, আশিক চৌধুরীকে যারা বেশি কিছু দেখছেন, মহাপুরুষ বানাচ্ছিলেন তাদের উদ্দেশ্যে কটাক্ষ ছিল। আমি নিশ্চিত আশিক চৌধুরি নিজেও তেমন কিছু দেখতে চান না, তিনিও তার নিজের কাজ করে যেতে চান।

ড. ইউনূসের কোনো কাজকে রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে তাচ্ছিল্য করিনি দাবি করে তিনি জানান, ড. ইউনূসের কাজকে আমি প্রশংসা করেছি বারবার। বিগত দিনেও আপনারা আমার প্রশংসার পোস্ট দেখেছেন। এ দেশের হয়ে কাজ করতে আসা আমাদের জন্য অত্যন্ত সৌভাগ্যের ব্যাপার। বিশেষ করে আমরা যারা ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। আশিক চৌধুরি বা বিনিয়োগ সম্মেলনের মতো প্রজেক্ট নিয়ে আমার ন্যূনতম কোনো সমালোচনার জায়গা নেই। বরং এপ্রিসিয়েশনের জায়গা অনেক বড়।

ফ্যাসিস্ট আমলের স্মার্ট ফিগার সুলাইমান সুখন এবং মাশরাফি-সাকিবদের কথা উল্লেখ্য করে তিনি বলেন, আমরা একটা সময় সুলাইমান সুখন, আরও বিভিন্ন তথাকথিত স্মার্ট ফিগার দেখেছি ফ্যাসিস্ট আমলে। মাশরাফি, সাকিবদের নিয়ে গালভরা গল্প দেখেছি। শেষে তাদের অবস্থা কি আমরা জানি। আমাদের মনে একটা ভয় থেকে যায় যখন কাউকে হঠাৎ ফিগার বানাতে দেখি। আমরা এর ভুক্তভোগী।

যারা বাংলাদেশকে ধারণ করতে চান তাদের জন্য শুভকামনা জানিয়ে মানসুরা আলম বলেন, আশিক চৌধুরীদের ইমেজ বিল্ড করতে গিয়ে তাকে তার কাজের চেয়েও বেশি কেউ বানাবে না, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের দেশে সেটাও আমাদের প্রত্যাশা।

এছাড়াও বাক স্বাধীনতা চর্চার নামে স্যোশ্যাল লাইফে হামলে পড়া তার ফ্যাসিবাদ বিরোধী সংগ্রামের স্বপ্নে ছিল না বলেও উল্লেখ্য করেছেন। সমালোচনা, ভয়ানক মিথ্যাচার এড়িয়ে যান বলেও তিনি জানান।

স্ট্যাটাসের শেষে বলেন, আমার দায় ছিল শুধু আশিক চৌধুরীর ব্যাপারে। এছাড়া সোশ্যাল মিডিয়ার মিথ্যাচার, এডিটেড ছবি, স্ক্রিনশট কোনোকিছু নিয়ে আমার জবাবের দায় নেই। ব্যক্তিগত আক্রমণের জবাব আমি দেব না। সেই সব দায় তাদের যারা এই ঘৃণ্য বাক স্বাধীনতা চর্চা করে অন্যের স্বাধীনতা ও ত্যাগকে অস্বীকার করছেন। আপনাদের সুস্থতা কামনা করি। নিজের পরিবারের প্রতি মনোযোগ দেন। মানুষকে মানুষ মনে করেন। কেউ সমালোচনা করলেই তাকে ব্যক্তি আক্রমণ করতে হয় না, এটাও পারিবারিক শিক্ষা।

প্রসঙ্গত, গতকাল বুধবার দুপুরের পর থেকে আশিক চৌধুরীর একটি উপস্থাপনার ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে নেটিজেন পাড়ায় প্রশংসা ভাসতে থাকেন। এরই প্রেক্ষিতে এক স্ট্যাটাসে মানসুরা লেখেন, ‘শোনলাম, নেটিজেন পাড়ায় নাকি নতুন আব্বু এসেছে।’ এমন স্ট্যাটাসের পর নেটিজেনদের রোষানলে পড়েন মানসুরা আলম এবং ১৪ ঘণ্টা ফেসবুক আইডি ডিজেবল হয়ে থাকে।

Unauthorized use of news, image, information, etc published by দৈনিক আমাদের পটুয়াখালী is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.


Comments:

Latest

For Advertisement

প্রকাশক: মাহমুদ হোসাইন
সম্পাদক : সিকদার জোবায়ের হোসেন।   স্বত্বাধিকারী : পটুয়াখালী ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন।    

Developed by RL IT BD