কাল নাগিনীর হাড়ে ফাঁটল, অবশেষে এক্সরে!

মোঃ ইমরান: পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় আঘাতপ্রাপ্ত একটি মৃদু বিষধর কাল নাগিনী সাপ উদ্ধারের পর তার এক্সরে করেছে এনিমেল লাভারস অফ পটুয়াখালীর সদস্যরা।
বুধবার (৯ জুলাই) রাত নয়টায় একটি বেসরকারি ক্লিনিকে সাপটিকে নেওয়া হয়। পরে এক্সরে করে জানা যায় সাপটির মাঝ বরাবরের হাড়ে ফাঁটল ধরেছে।
এর আগে সকালে পার্শ্ববর্তী আমতলী উপজেলার পূজাখোলা দফাদার বাড়ি সংলগ্ন থেকে সাপটিকে লাঠি দিয়ে পেটানো অবস্থায় গ্রামবাসীদের হাত থেকে রক্ষা করে এনিমেল লাভারস অফ পটুয়াখালীর সদস্য মো. বায়জিদ দফাদার। পরে তিনি সাপটিকে চিকিৎসার জন্য এনিমেল লাভারস অফ পটুয়াখালীর কলাপাড়ার শাখার টিম লিডার বায়জিদ আহসানের কাছে তুলে দেন। সবুজ এবং লাল ও কালো রঙের ডোরাকাটা প্রাপ্ত বয়স্ক এ সাপটির দৈর্ঘ্য প্রায় ৩ ফুট।
সাপ উদ্ধারকারী মো. বায়জিদ মিয়া বলেন, “দফাদার বাড়ি এলাকার একটি আম গাছ থেকে সাপটি নিচে নামার পর স্থানীয় গ্রামাবাসীরা পিটিয়ে মারার চেষ্টা করে। সাপটিকে লাঠি দিয়ে বেশ কয়েকটি আঘাত করা হয়। এসময় আহত অবস্থায় সাপটিকে উদ্ধার করে আমাদের টিম লিডার বায়জিদ আহসানের কাছে হস্তান্তর করি। আমাদের এলাকার মানুষের সাপ সম্পর্কে কোন ধারণা নেই। যার কারনে সাপ দেখলেই তারা মেরে ফেলে। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষাকারী সাপ সম্পর্কে এ এলাকার মানুষের জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম চালানো দরকার।”
কলাপাড়া ল্যাব এশিয়া ডায়াগনস্টিক সেন্টারের এক্সরে টেকনিশিয়ান মো. সাঈদ হোসেন বলেন, “মূলত আমরা মানুষের এক্সরে করে থাকি। এই প্রথম বিরল একটি এক্সরে করলাম। এনিমেল লাভারস অফ পটুয়াখালীর সদস্যরা বন্যপ্রাণি নিয়ে কাজ করে। এটা আমি আগে থেকেই জানি। তাদের এ কাজকে সাধুবাদ জানাই। আশা করছি সাপটি সুস্থ হয়ে উঠবে।”
কলাপাড়া উপজেলা সহাকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইয়াসীন সাদিক বলেন, “আহত সাপটির খবর পেয়ে সেটিকে চিকিৎসার জন্য বলা হয়েছে। এটিকে পরিপূর্ণ সুস্থ করে তুলতে সকল ধরনের সহযোগিতা করা হবে।”
আপনার মন্তব্য লিখুন