আলীপুর-মহিপুর মৎস্য বন্দর: শতকোটি টাকার বাণিজ্যক্ষেত্র, ঝুঁকিতে শিল্প

আবুল হোসেন রাজু, কুয়াকাটা (পটুয়াখালী) : পটুয়াখালীর আলীপুর ও মহিপুর মৎস্য বন্দর এখন দেশের অন্যতম বড় মাছের বাণিজ্যকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিন হাজারো ট্রলার মাছ নিয়ে ভিড়ছে বন্দরে। মাছ বিক্রি ও শিকারের সরঞ্জাম কেনাবেচার কারণে দুই বন্দরেই প্রতিদিন গড়ে কোটি কোটি টাকার লেনদেন হচ্ছে। ফলে এই এলাকা এখন শতকোটি টাকার অর্থনৈতিক বাণিজ্যক্ষেত্র হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।
তবে সমুদ্রনির্ভর এ শিল্প টিকিয়ে রাখতে এখনো নেয়া হয়নি পর্যাপ্ত পুনর্বাসন উদ্যোগ। প্রতিকূল আবহাওয়া, ঘন ঘন সাগর দুর্যোগ, জলবায়ু পরিবর্তন ও মাছের সংকটের কারণে জেলে ও ব্যবসায়ীরা বারবার ক্ষতির মুখে পড়ছেন।
স্থানীয় মৎস্য ব্যবসায়ী রাজু আহম্মেদ রাজা বলেন, “লাখো জেলে ও ব্যবসায়ী কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করলেও নানা দুর্যোগের কারণে ধারাবাহিক লোকসান গুনতে হচ্ছে। প্রতিদিন জীবন ও সম্পদের ঝুঁকি নিয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।”
মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের পরিদর্শক রাজিব কুমার দাস জানান, প্রতিবছর ইলিশ রপ্তানি থেকে বাংলাদেশ শত কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা আয় করে। কিন্তু মহাজনী চক্রের চড়াসুদে ঋণ এবং মধ্যস্বত্বভোগীদের খপ্পরে পড়ে সাধারণ জেলে ও ব্যবসায়ীরা বঞ্চিত হচ্ছেন।
পটুয়াখালী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. কামরুল ইসলাম বলেন, “বাংলাদেশ বর্তমানে বিশ্বের মোট ইলিশ উৎপাদনের প্রায় ৮৬ শতাংশ সরবরাহ করছে। এ ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে জেলে ও ট্রলার মালিকদের সহজ শর্তে ঋণ ও প্রণোদনা দেয়া এখন সময়ের দাবি।”
শত সংকট ও প্রতিকূলতা সত্ত্বেও ভালো দিনের আশায় এখনো জীবিকা নির্বাহ করছে আলীপুর-মহিপুরের হাজারো জেলে পরিবার।
আপনার মন্তব্য লিখুন