আদিবাসী দিবসে রাখাইনদের দাবি — ভূমি, শ্মশান ও আবাস্থলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হোক

আদিবাসী অধিকার প্রতিষ্ঠা ও ভবিষ্যৎ গঠনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সার্থক প্রয়োগ” স্লোগান নিয়ে পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস উদযাপন করা হয়েছে। শনিবার সকাল ১০ টায় উপজেলার মহিপুর কারিতাস অফিসের হলরুমে অনুষ্ঠানে কলাপাড়া আদিবাসী দিবস উদযাপন কমিটির আয়োজনে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতিসংঘ ঘোষিত আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস এখানে উদযাপিত হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম বৃহত্তম বরিশাল অঞ্চলের সভাপতি মংচোখিন তালুকদার। রাখাইন বুড্ডিস্ট ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের সাংগঠনিক সম্পাদক খেথুম রাখাইন। বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম বৃহত্তর বরিশাল অঞ্চলের সহ-সভাপতি গিসো রাখাইন
রাখাইন বুড্ডিস্ট ওয়েলফেয়ারের এ্যাসোসিয়েশনে সভাপতি এমং তালুকদারের সভাপতিত্বে রাখাইন পাড়া, কেরানীপাড়া, নয়াপাড়া, মিশ্রীপাড়াসহ বিভিন্ন পাড়ার রাখাইন শিক্ষার্থী ও বাসিন্দারা উপস্থিত ছিলেন।
অধিকারকর্মী ও কেন্দ্রীয় বাংলাদেশ আদিবাসী কোরামের সদস্য মংখ্যা বলেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে বিপন্ন আদিবাসী জনগোষ্ঠীর নাম রাখাইন। দশকের পর দশক ধরে দক্ষিণাঞ্চলের একর পর এক রাখাইন জনপদ নিশ্চিহ্ন হয়েগেছে। জবরদখল উচ্ছেদের শিকার হয়ে তাদের অধিকাংশই মাতৃভূমি থেকে বিতাড়িত হয়েগেছেন, জবরদখলকারীরা তাদের ভিটেমাটি, পুকুর আর কৃষি জমি দখল করেই ক্ষান্ত হয়নি, বেদখল হয়েগেছে তাদের উপাসনালয় বৌদ্ধবিহার, ভূমিগ্রাসের কবলে চলেগেছে একের পর এক শ্মশানভূমি।
রাখাইনরা খুবই শান্তিকামী। তাদের যা আছে বা যা ছিল তা নিয়ে তারা সম্পূর্ণ শান্তিতে বসবাস করতে ভালবাসেন। পরোপকারিতা, আতিথেয়তা, বন্ধুত্ব, আনন্দময়তা, হাস্যকৌতুক-প্রিয়তা ও সর্বদাই হাস্যপূর্ণমুখ তাদের বৈশিষ্ট্য। স্বকীয় কৃষ্টি সংস্কৃতি পরিক্ষণে এবং পরিচর্চায় তারা যথেষ্ট যত্নবান। রাখাইন সমাজে স্বনির্ভরতার দৃঢ়ভাবে গ্রোথিত বলে ভিক্ষাবৃত্তি (পর নির্ভরতা) ধনী-দরিদ্রের ব্যবধানের ব্যাপকতা, বাল্যবিবাহ ও সমাজ বিধ্বংসী যৌতুক প্রথা দেখা যায় না।
অনুষ্ঠানে রাখাইনদের জীবনমান উন্নয়নে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন বক্তারা। আলোচনা শেষে র‍্যালি মাধ্যমে তাদের এই অনুষ্ঠান শেষ হয়।

- বিজ্ঞাপন -

আপনার মন্তব্য লিখুন

- Google -

আরও পড়ুন

Back to top button