আগামী সংসদ নির্বাচনে কয়েদিরাও ভোট দিতে পারবেন: পটুয়াখালীতে নির্বাচন কমিশনার

নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেছেন, আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কয়েদিরাও ভোট দিতে পারবেন, নির্বাচন কমিশন (ইসি) সে ব্যবস্থা করেছে। এ ছাড়া ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত যাঁদের বয়স ১৮ বছর হয়েছে, তাঁরাও এবার ভোট দিতে পারবেন।
আজ শুক্রবার বেলা তিনটার দিকে পটুয়াখালী সার্কিট হাউসে স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের আনোয়ারুল ইসলাম এ কথাগুলো বলেন। ‘নির্বাচন প্রক্রিয়ায় ভোট গ্রহণকারী কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালনে চ্যালেঞ্জসমূহ নিরূপণ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি আজ শুক্রবার সকালে পটুয়াখালীতে আসেন। আগামীকাল শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কুয়াকাটা সিওডিইসি ট্রেনিং সেন্টারে আয়োজিত এ কর্মশালায় অংশ নেবেন তিনি।
মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, ‘আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এর প্রস্তুতি হিসেবে আমরা সারা দেশে, যাঁরা ভোট গ্রহণ করবেন প্রিসাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসার এবং রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করে আসছি। কারণ, সারা দেশে একটা খারাপ পরিস্থিতি বিরাজ করছে। যে কারণে ভোট গ্রহণের দায়িত্ব থাকা লোকজনের মাঝে দ্বিধাদ্বন্দ্ব ও আশঙ্কা কাজ করছে। আমরা আশাবাদী, এ পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে পারব।’ তিনি আরও বলেন, ‘ভোটার তালিকা হালনাগাদ শেষ পর্যায়ে। ভোটকেন্দ্রের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের আসনবিন্যাস, সাংবাদিক ও পর্যবেক্ষক নীতিমালার কাজগুলো শেষ করেছি। তিন বাহিনী সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী এবং পুলিশ ও বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সংলাপ শেষ করেছি। আশা করছি, আগামী ফেব্রুয়ারিতে সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’
গণভোটের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘বিষয়টি এখনো নির্বাচন কমিশনের নজরে আসেনি। সরকার কীভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছে, সেটি আমাদের কাছে এখনো পৌঁছায়নি। এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হলে দেশের মানুষ অবশ্যই তা জানতে পারবে।’
নির্বাচন বিষয়ে আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘ডিসেম্বরের প্রথম দিকে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে। আর পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন নিয়ে আমি কোনো আলোচনা করব না। এটি সম্পূর্ণ রাজনৈতিক বিষয়। রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে কী আসে, সেটা দেখার অপেক্ষায় আছি। তবে এখন পর্যন্ত বড় কোনো চ্যালেঞ্জ দেখছি না। যতটুকু আছে, তা কাটিয়ে উঠতে পারব। নির্বাচন সম্পন্ন করতে হলে কিছু নীতিমালার বিষয় থাকে। এর মধ্য রয়েছে তফসিল ঘোষণা, প্রতীক বরাদ্দ। কিছু প্রতীকের বিষয়ে সুপারিশ ছিল। আমরা সেগুলো বাদ দিয়ে সুন্দর সুন্দর কিছু প্রতীক বরাদ্দ দিয়েছি।’
এ সময় পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শহীদ হোসেন চৌধুরী, জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মো. অহিদুজ্জামান মুন্সিসহ জেলা প্রশাসন ও জেলা নির্বাচন কার্যালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সাক্ষাৎকার শেষে নির্বাচন কমিশনার কুয়াকাটার উদ্দেশে রওনা হন।
 
				 
					 
					



আপনার মন্তব্য লিখুন