আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অন্য রাজনৈতিক দলের সাথে জোটের আলাপ–আলোচনা চলছে — নুরুল হক নুর

পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা–দশমিনা) আসনের নির্বাচনী প্রচারণা শেষ করে ঢাকায় ফেরার পথে পটুয়াখালী শহরের ঝাউতলা শহীদ হৃদয় তরুয়া চত্বরে সন্ধ্যা ৮টা ৩০ মিনিটে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি এবং ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেন, “আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অন্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জোট গঠনের আলাপ–আলোচনা চলছে।”

- বিজ্ঞাপন -

৪২টি রাজনৈতিক দল মিলে ফ্যাসিবাদের সময় থেকেই ‘১ দফা’ দাবিতে আন্দোলন করে আসছিল যুবপদ আন্দোলন। সেই যুবপদ আন্দোলনের সময় বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে নিয়মিত আলাপ–আলোচনা ছিল। ফ্যাসিবাদ পতনের পরে আগামীর বাংলাদেশকে নতুনভাবে গড়ে তুলতে এই যুবপদ আন্দোলনের শরীকদের সমন্বয়ে একটি জাতীয় সরকার গঠিত হবে।

যেহেতু বিএনপি সাংগঠনিকভাবে সারা দেশে বড় একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে বিবেচিত, সেই জায়গা থেকেই বিএনপি এখানে বড় নেতৃত্বের ভূমিকা পালন করছে এবং রাষ্ট্র-সংস্কারের জন্য আলাপ–আলোচনা করে একটি কর্মসূচি গ্রহণ করেছে, যেটাতে আমরা সবাই সমর্থন দিয়েছি।

গণঅধিকার পরিষদ বাংলাদেশের একটি ব্যতিক্রমধর্মী রাজনৈতিক দল, যারা ক্ষমতায় থেকে কিংবা গোয়েন্দা সংস্থার সুবিধা নিয়ে তৈরি হয়নি—একেবারেই রাজপথ থেকে জনতার অধিকার সংগ্রামের মাধ্যমেই আজকের এই অবস্থানে এসেছে।

নির্বাচনের সময় সব রাজনৈতিক দলই প্রচার–প্রচারণার মাধ্যমে সারা দেশে সাংগঠনিক অবস্থান তৈরি করার চেষ্টা করে থাকে। আমরাও তিনশ আসনেই প্রার্থী নিয়ে কাজ করছি এবং দু-এক দিনের মধ্যেই বিভিন্ন আসনে আমাদের প্রার্থী ঘোষণা হবে। একই সঙ্গে আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অন্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গেও জোট গঠনের আলাপ–আলোচনা চলছে। বিএনপির সঙ্গে আমাদের দীর্ঘদিনের পুরোনো আলাপ–আলোচনা রয়েছে; পাশাপাশি অন্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গেও আলোচনা চলছে।

- বিজ্ঞাপন -

নিজের প্রার্থীতা নিয়ে নুর বলেন, “আমি পটুয়াখালী–৩ আসন থেকে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কারণ এখানে সাধারণ মানুষের সমর্থনই আমার প্রধান শক্তি। এই আসনে জয়ের জন্য কোনো জোট বা দলের ওপর নির্ভর করতে হবে না—মানুষের ভালোবাসাই আমার বড় সমর্থন।”

তবে তিনি আরও যোগ করেন, জাতীয় পর্যায়ে জোট হলে স্বাভাবিকভাবেই যে দলের সঙ্গে জোট হবে, তারা এই আসনে প্রার্থী দেবে না—এটাই রাজনৈতিক বাস্তবতা।

ইতিমধ্যে ৫ আগস্টের পরে এলাকাবাসীর ভালো–মন্দ, সুযোগ–সুবিধা নিয়ে তিনি কাজ করছেন এবং উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে মেধা ও পরিশ্রম দিয়ে ভূমিকা রাখার চেষ্টা করছেন। এর ফলে এলাকাবাসীর বিশেষ সমর্থনও পেয়েছেন বলে জানান তিনি।

তার ভাষায়, এলাকার একজন ছেলে নির্যাতন–নিপীড়নের মধ্যেও সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে থাকায় মানুষ তাকে আন্তরিকভাবে ভালোবাসে। প্রচারণায় গেলে কেউ জড়িয়ে ধরে, কেউ আবেগে কান্না করে, কেউ দোয়া করে—এমন দৃশ্য তাকে অনুপ্রাণিত করছে।

নুর বলেন, “আমি স্পষ্টভাবেই দেখেছি—এখানে গণঅধিকার পরিষদ এবং ভিপি নুরের পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। অন্যান্য দলের প্রার্থীরাও এটি ভেতরে ভেতরে অনুভব করছেন।”

শেষে তিনি আশা প্রকাশ করেন, পটুয়াখালী–৩ আসন থেকে বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে এলাকার উন্নয়ন ও মানুষের অধিকার আদায়ে সংসদে কথা বলবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুন

- Google -

আরও পড়ুন

Back to top button